রবিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৫, ৭ই বৈশাখ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


মানবিক বিপর্যয়ে গাজা


প্রকাশিত:
৩ জুন ২০২১ ১৯:২৩

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ১০:০৬

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা এখনও ধ্বংসস্তূপের নগরী। সাজানো-গোছানো শহর ভরে আছে বিমান হামলায় ভবন ভাঙা ইট-পাথরের টুকরোয়। যুদ্ধবিরতির পরও এখানকার বাসিন্দারা ভালো নেই। ইসরায়েলি হামলার দিন থেকেই তাদের দুঃখের শুরু। এখনও আঁতকে ওঠেন সেই সব স্মৃতি মনে করে।

এক ফিলিস্তিনি বলেন, যখন বিমান হামলা হতো তখন পুরো গাজা অঞ্চল কাঁপত। আমাদের বহু বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রাণ গেছে অনেক প্রতিবেশীর। কয়েকজনকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করেছি। সেসব দুঃসহ পরিস্থিতি আর দেখতে চাই না।

গাজায় শুধু ভবনগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ-পানির সংকটও তীব্র। ভুগতে হচ্ছে জ্বালানি সংকটেও। সব মিলিয়ে চরম মানবিক বিপর্যয়ে অধিবাসীরা।

ইসরায়েলের হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া মানুষের অনেকেই আহত হয়েছেন। তাদের কেউ হারিয়েছেন পা, কেউ বা হাত। শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন ক্ষত। এতো কিছুর পরও নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন তাদের। তারা চান, আর যেন আগ্রাসন না আসে।

যারা এগিয়ে এসেছেন গাজা পুনর্নির্মাণে, সেসব দাতাসংস্থাকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটি আহ্বান জানিয়েছে, বিশ্বের বড় বড় দেশগুলো যেন মানবিক দৃষ্টিকোণ নিয়ে এ কাজে এগিয়ে আসে।

সম্প্রতি গাজা উপত্যকায় ১১ দিনব্যাপী যুদ্ধ শেষে অস্ত্রবিরতি ঘোষিত হলে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন-হামাস এ যুদ্ধে নিজেদের বিজয় ঘোষণা করে। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক রাস্তায় নেমে বিজয়ের আনন্দ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে ইসরায়েলও এ যুদ্ধে নিজেদের বিজয়ের দাবি করে; যদিও সেখানকার একজন নাগরিককেও রাস্তায় নেমে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা যায়নি।

গাজা উপত্যকার আবাসিক ও বেসামরিক অবস্থানগুলোর ওপর ইসরায়েলি ভয়াবহ বিমান হামলায় ২৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১৯৪৮ জন আহত হন। অন্যদিকে গাজা থেকে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিক্ষিপ্ত রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে নিহত হয় ১২ ইহুদি নাগরিক। শুক্রবার (২১ মে) মিসরের মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষের সম্মতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top