গোপনে ৬ বিয়ে, ধরা পড়ে গণপিটুনি খেল বর!
প্রকাশিত:
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০২:২৯
আপডেট:
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৩:৩৪

ভারতের পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর এলাকায় গোপনে ৬টি বিয়ে করেছেন সন্তোষ দলুই নামের এক ব্যাক্তি। এমনকি সন্তানের বাবা হয়েছেন একাধিক সংসারে। সবকিছু ভালোই যাচ্ছিল। কিন্তু বিপদ হল একদিন শ্বশুরবাড়ি যাওয়া পথে।
জানা যায়, ৫ম ও ষষ্ঠ বিয়ে করেছিলেন পাশাপাশি দুই গ্রামে। ফলে যাওয়া-আসার পথে এক জায়গায় দেখা হয়ে যায় দুই পক্ষের পরিচিতজনদের সঙ্গে। এ সময় বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। যার ফলে কপালে জোটে বেদম গণপিটুনি।
জানা গেছে, হায়দ্রাবাদে ফুল সাজানোর কাজ করতেন দাসপুরের গদাইপুরের বাসিন্দা সন্তোষ দলুই। সেখানেই ১ম বিয়ে করেন তিনি। এরপর বছর পাঁচেক আগে নিজের বাড়ি ফিরে সেখানকার এক নারীকে বিয়ে করেন। তাদের এক সন্তানও রয়েছে।
এরপর মহেশপুর গ্রামে ফের বিয়ে। সেখানে রয়েছে বছর তিনেকের সন্তান। এভাবে একের পর এক বিয়ে করে দেড় বছর আগে মহেশপুরের ঠিক পাশের গ্রাম কলরার এক নারীর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। এটি ছিল তার ৬ষ্ঠ বিয়ে।
একদিন ৬ষ্ঠ শশুড়বাড়ী যাওয়ার পথে ৫ম ও ৬ষ্ঠ শশুড়বাড়ীর এলাকার লোকের কাছে ধরা পড়ে সন্তোষ। একদিকে মহেশপুরের লোকজন তাকে ‘জামাই’ বলছেন, অন্যদিকে কলরা গ্রামের বাসিন্দাদেরও একই দাবি। দুই গ্রামবাসীর তর্কাতর্কি আর লাগাতার জেরার মুখে শেষ পর্যন্ত সত্যটা বলতে বাধ্য হন জামাই সন্তোষ। জানান, কলরা গ্রামের রিংকু আসলে তার ষষ্ঠ স্ত্রী।
এরপরেই দুই পরিবারের কাছে জামাইয়ের গোপন সংবাদ পৌঁছায়। তারা ছুটে যান ঘটনাস্থলে। তবে ততক্ষণে উত্তেজিত গ্রামবাসীর হাতে গণপিটুনি খেয়ে অবস্থা খারাপ জামাই সন্তোষের।
তথ্য গোপন করে ৬টি বিয়ে করায় বেধড়ক মারধরের পর দাসপুর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয় তাকে। প্রতারণার অভিযোগে সন্তোষের নামে মামলা করেছেন পঞ্চম স্ত্রীর বাবা। খবর-আনন্দবাজার।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: