অটোয়া অবরুদ্ধ
কানাডায় ধরপাকড়
প্রকাশিত:
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:২৮
আপডেট:
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৫:২২

বাধ্যতামূলক টিকা নিতে ট্রাক চালকদের অস্বীকৃতির জের ধরে ধরপাকড় শুরু হয়েছে কানাডায়। ইতোমধ্যে ট্রাক চালক-সহ আটক করা হয়েছে বহু আন্দোলনকারীকে। 'ফ্রিডম কনভয়' আন্দোলনের নামে কানাডার ট্রাক চালক এবং অন্য গাড়িচালকরা গেল ১১ দিন ধরে দেশটির রাজধানী অটোয়া এবং অন্যান্য প্রধান শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গাড়ি দিয়ে অবরোধ করে। ফলে কার্যত অচল হয়ে পড়ে কানাডার রাজধানী।
বার্তাসংস্থা পার্সটুডে এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, ফ্রিডম কনভয় আন্দোলন শুরুর পর নিরাপত্তা বিবেচনায় রাজধানী অটোয়া থেকে অজ্ঞাত স্থানে চলে যান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার পরিবার। আন্দোলন দমাতে ধরপাকড় ও গ্রেফতার অভিযান জোরদার করেছে পুলিশ। অভিযানের অংশ হিসেবে রাজধানী অটোয়া থেকে কয়েক হাজার লিটার জ্বালানি তেল আটক করে পুলিশ।
সম্প্রতি করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে আন্তঃসীমান্ত ট্রাক চালকদের জন্য টিকা গ্রহন বাধ্যতামূলক এবং কিছু দিকনির্দেশনা দিয়ে আইন জারি করে কানাডা। ওই আইনে বলা হয়, সীমান্ত এলাকা দিয়ে যেসব ট্রাক চালক কানাডায় প্রবেশ করবে তাদের পরিপূর্ণভাবে টিকা গ্রহণের সার্টিফিকেট থাকতে হবে, নইলে চালকদেরকে করোনা পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে এবং কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এমন সিদ্ধান্তেরে বিরুদ্ধে ‘ফ্রিডম কনভয়’ নামে আন্দোলন শুরু করে ট্রাক চালকরা। পরবর্তীতে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী অটোয়া, টরেন্টো, এডমন্টন, হ্যালিফ্যাক্স এবং ভ্যানকুভারের মতো শহরগুলোতে।
এরই ধারাবাহিকতায় আন্দোলন দমাতে কানাডার রাজধানী অটোয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে প্রশাসন। অটোয়ার মেয়র জেমস ওয়াটসন অঙ্গীকার করে বলেন, বিক্ষোভকারীদের কবল থেকে রাজধানীকে উদ্ধার করা হবে।
এদিকে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পর প্রায় এক সপ্তাহ লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। অবশেষে সুস্থ হয়ে সোমবার ৭ ফেব্রুয়ারি জনসম্মুখে আসেন কানাডিয় প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি এই আন্দোলন বন্ধের আহবান জানান।
এসএন/জুআসা/২০২২
সম্পর্কিত বিষয়:
কানাডায় ফ্রিডম কনভয় আন্দোলন কানাডায় ট্রাক চালকদের অস্বীকৃতি রাজধানী অটোয়া অটোয়ার মেয়র জেমস ওয়াটসন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: