ভারতে সাবেক ছাত্রনেতা আনিস খানের রহস্যজনক মৃত্যুতে উত্তাল কোলকাতা
প্রকাশিত:
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:২৭
আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ০১:৫৪

সাবেক মুসলিম ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুতে উত্তাল হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের অনেক এলাকা। শুক্রবার ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের হাওড়া জেলার আমতা থানা আওতাধীন সারদা দক্ষিণ খাঁ-পাড়ার নিজ বাড়ীর ছাদ থেকে পড়ে রহস্যজনক মৃত্যু হয় আনিস খানের। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের পোশাকে চার জন রাতে বাড়িতে ঢোকে। তারাই আনিসকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেয়। বিভিন্ন বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে এমন খবর জানায় পার্সটুডে।
সাবেক ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ করে কোলকাতার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিবাদ মিছিল প্রতিহত করতে পুলিশের পক্ষ থেকে অনেক জায়গায় ব্যারিকেড দেয়া হয়। বেশ কয়েক জায়গায় ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল করে প্রতিবাদী ছাত্র-ছাত্রীরা। অনেক স্থানে আন্দোলনকারী এবং পুলিশের মধ্যে তীব্র বচসা ও ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের মিছিল ছত্রভঙ্গ করে এবং আটক করে অনেককে।
এদিকে, আনিস খানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে নেমে মঙ্গলবার ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে হাওড়ার আমতা থানার কর্মকর্তাসহ দুই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। সাসপেন্ড হওয়া পুলিশরা হচ্ছেন সহকারী উপপরিদর্শক নির্মল দাস এবং কনস্টেবল জিতেন্দ্র হেমব্রম। পাশাপাশি কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে হোমগার্ড কাশীনাথ বেরাকে। জানা যায়, ঘটনার দিন এই তিন পুলিশ শুক্রবার ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে থানার খাতায় সই করে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সঙ্গে নিয়ে রাউন্ডে বের হন। সে রাতে আমতা থানা এলাকার সারদা দক্ষিণ খাঁ-পাড়ায় বাড়ির তিনতলার ছাদ থেকে পড়ে মারা যান আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা আনিস খান।
আনিস খানের মৃত্যু’র ঘটনায় সোমবার ২১ ফেব্রুয়ারি বিশেষ তদন্ত টিম (সিট) গঠন করে তাদেরকে ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পরিবারের দাবি, পুলিশি তদন্তে তাদের আস্থা নেই, তারা চান সিবিআই তদন্ত।
এদিকে, পুলিশ কর্মীদের সাময়িকভাবে বরখাস্তের ঘটনাকে ‘নাটক’ বলে অভিহিত করেছেন রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী এমপি। তিনি একে উল্লেখ করেন ললিপপ বলে। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার চাপে পড়ে পুলিশ কর্মীদের বরখাস্ত করেছে। আনিস খানের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন করতে বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত দাবিও করে অধীর রঞ্জন চৌধুরী। রাজ্যের বিরোধী দলীয় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, আনিস খানকে খুন করেছে পুলিশ। তিনি ওই ব্যাপারে হাওড়া গ্রামীণ ক্ষেত্রের এসপি ও অতিরিক্ত এসপিকে সাসপেন্ড ও গ্রেফতার করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন। এরা নীচুতলার পুলিশ কর্মীদের সাসপেন্ড করে বেচারা নিজেরা বাঁচতে চাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা ও বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
এসএন/জুআসা/২০২২
সম্পর্কিত বিষয়:
আনিস খানের রহস্যজনক মৃত্যু পশ্চিমবঙ্গ কোলকাতার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় হাওড়া জেলার আমতা থানা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: