বৃহঃস্পতিবার, ১৩ই মার্চ ২০২৫, ২৯শে ফাল্গুন ১৪৩১


ইউরোপে ঢুকতে মানা মার্কিন-ব্রাজিল-চীনাদের


প্রকাশিত:
১ জুলাই ২০২০ ০১:৫৪

আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ১৫:১৪

ছবি: সংগৃহীত

১ জুলাই থেকে ১৪টি 'নিরাপদ' রাষ্ট্রের নাগরিকেরা ইউরোপে প্রবেশ করতে পারবেন বলে ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

নিরাপদ দেশের তালিকায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, মরক্কো এবং দক্ষিণ কোরিয়া। আর তালিকা থেকে বাদ গেছেন মার্কিন, ব্রাজিল আর চীনের নাগরিকেরা। খবর বিবিসির।

কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, ইইউ এই তালিকায় চীনকে অন্তর্ভূক্ত করবে, যদি চীনের সরকারও একই ভাবে ইউরোপীয় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়। ইউরোপের নাগরিকদের জন্য ইইউয়ের সীমান্ত কড়াকড়ি তুলে নেয়া হয়েছে। ব্রিটিশ পর্যটকদের জন্য ব্রেক্সিট চুক্তির আলোচনার অধীনে নতুন নিয়ম করা হয়েছে।

৩১ ডিসেম্বর ব্রেক্সিট হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হবার আগ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের বাসিন্দারা ইউরোপের নাগরিকের সমান মর্যাদাই পাবেন। যে কারণে সাময়িক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন না ব্রিটিশ নাগরিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা।

নিরাপদ দেশের নতুন যে তালিকা করা হয়েছে সেটিতে পরে আরো পরিবর্তন আসতে পারে বলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ তালিকায় আছে আলজেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জর্জিয়া, জাপান, মন্টেনিগ্রো, মরক্কো, নিউজিল্যান্ড, রুয়ান্ডা, সার্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, তিউনিসিয়া এবং উরুগুয়ে।

যুক্তরাজ্য এখন কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের সঙ্গে 'এয়ার ব্রিজ' পদ্ধতি আয়োজনের চেষ্টা করছে, এর মানে হচ্ছে ব্রিটিশ নাগরিকেরা ইউরোপের কোন দেশে গেলে যাতে তাকে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে না হয়।

আসন্ন গ্রীষ্মের ছুটি লক্ষ্য করে এই ব্যবস্থা করতে চাইছে যুক্তরাজ্য, এর কারণ হচ্ছে ইউরোপের পর্যটন খাতের জন্য এই মৌসুমটি ব্যস্ততম, এ সময়ে লক্ষ লক্ষ লোক এ খাতে বিভিন্ন রকম কাজ করে।

ইইউয়ের এই নিরাপদ রাষ্ট্রের তালিকা এবং এর যোগ্যতা সম্পর্কে মঙ্গলবার অর্থাৎ আজই পরের দিকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ইইউভুক্ত রাষ্ট্রের বেশিরভাগ অর্থাৎ অন্তত ৫৫ শতাংশ দেশ যাদের জনসংখ্যা ইউরোপের ৬৫ শতাংশের মত, তারা এই তালিকা অনুমোদন করেছে।

কিন্তু এর মধ্যে স্পেনের মত দেশ যারা নিজেদের পর্যটন শিল্প আগের মত অবস্থায় নিয়ে যেতে চায়, কিন্তু আবার কোভিড-১৯ এ ভয়াবহতার অন্যতম শিকার হবার কারণে তারা পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় এমন দেশও রয়েছে, যারা এখনো দ্বিধান্বিত। কিন্তু এ তালিকায় গ্রীস এবং পর্তুগালের মত দেশও রয়েছে এই তালিকায় যারা মূলত পর্যটনের আয়ে চলে, কিন্তু ভাইরাসের ভয়ে ভীত নয়।

সূত্র- বিবিসি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top