সাবরিনা-আরিফসহ ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক
প্রকাশিত:
২১ আগস্ট ২০২০ ০১:১০
আপডেট:
২১ আগস্ট ২০২০ ০১:৩৫

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ ছয়জনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ অনুমতি দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার জানা গেছে, আদেশে আসামিদের তিন কার্যদিবসে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি হওয়া অপর পাঁচ জন হলেন, ডা. সাবরিনার স্বামী সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, তার সহযোগী আ স ম সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ওরফে হিমু ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী ও প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা।
আসামিরা অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। এজন্য তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের প্রার্থনা করে দুদকের অনুসন্ধানী দলের কর্মকর্তা উপপরিচালক মোছা. সেলিনা আখতার মনি।
উল্লেখ্য, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে বহাল থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার স্বামী আরিফ চৌধুরীর সহায়তায় করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন ডা. সাবরিনা চৌধুরী। ১৫ হাজার ৪৬০টি জাল প্রতিবেদন তৈরি ও সরবরাহ করে তিনি আট কোটি টাকা হাতিয়ে নেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। এছাড়াও জানা উৎসের বাইরে অজানা উৎস থেকে অর্থ উপার্জনের অভিযোগও আছে সাবরিনার বিরুদ্ধে।
করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় আজ বৃহস্পতিবার ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফুল হকসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
অভিযোগ উঠেছে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিতে গত ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: