বাংলাদেশ ব্যাংকে দুদকের ‘নিষ্ফল’ লকার অভিযান
প্রকাশিত:
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪৮
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১২:২৪

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান ২৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে তাদের লকার সুবিধা পরীক্ষা করেছে। অভিযোগ উঠেছে, এসব কর্মকর্তারা বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ, অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং শেয়ারবাজারে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সাথে জড়িত। এদের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারও রয়েছেন।
দুদক পরিচালক কাজী মোহাম্মদ সায়েমুজ্জামান জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তারা লকার সুবিধার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অভিযান পরিচালনা করেন। ঢাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লকার রেজিস্টার পরীক্ষা করা হয়, তবে ২৫ কর্মকর্তার মধ্যে কারো লকার সুবিধা পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, দুদকের কাছে অনেক অভিযোগ জমা রয়েছে এবং এসবের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে আদালতের নির্দেশে অন্যান্য কর্মকর্তাদের লকার সুবিধা পরীক্ষার সুযোগ থাকবে। যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, দুদক কর্মকর্তারা আদালতের নির্দেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের লকার রেজিস্টার পরীক্ষা করেছেন, কিন্তু তারা ২৫ কর্মকর্তার লকারে কোনো সুবিধা পায়নি। অতএব, আজ কোনো লকার খোলা হয়নি। তবে ভবিষ্যতে আদালতের নির্দেশে যদি অন্যদের লকার খোলার আদেশ আসে, তবে তা পরীক্ষা করা হবে।
এছাড়া, সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর লকার থেকে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ উদ্ধারের পর, আরও ৩৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ, অর্থ পাচার এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কেউ লকার খোলার বিপক্ষে মত প্রকাশ করেছেন, আবার কেউ কেউ চান দুর্নীতিবাজদের অপরাধ প্রকাশ পেয়ে শাস্তি হোক।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: