আমু-সালমান-দীপু-শমী কায়সারসহ ১০ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
প্রকাশিত:
৯ এপ্রিল ২০২৫ ১২:৫৭
আপডেট:
১২ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:৩৫

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর বিভিন্ন থানার পৃথক মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, অভিনেত্রী শমী কায়সারসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
অন্যরা হলেন, ওয়ার্কাস পার্টি সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক এমপি হাজী সেলিম, সাদেক খান, আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, সাবেক দুই আইজিপি শহীদুল হক ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন সকাল ৯টায় ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় তাদের হাজির করে পুলিশ। ১০টা ১৫ মিনিটে তাদের আদালতের এজলাসে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।
আদালতে প্রসিকিউশন শাখার উপ-পরিদর্শক মো. শরীফ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, যাত্রাবাড়ী থানার সাজেদুর রহমান ওমর হত্যা মামলায়- আমির হোসেন আমু, সালমান এফ রহমান, ডা. দীপু মনি, শহীদুল হক, হাজী সেলিম, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার দেখায় আদালত।
এছাড়া শাহবাগ থানার মনির হোসেন হত্যা মামলায় রাশেদ খান মেনন, ভাটারা থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় আব্দুল্লাহ আল জ্যাকব, মোহাম্মদপুর থানার মামলায় সাদেক খান, উত্তরা পূর্ব থানার জুবায়ের ইউসুফ হত্যাচেষ্টা মামলায় শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার দেখানো মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট টঙ্গী সরকারি কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান ইউসুফ (২০) আন্দোলনে অংশ নেন। এদিন দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মিছিলটি উত্তরা পূর্ব থানাধীন আজমপুর এলাকায় পৌঁছালে আসামিদের ছোঁড়া গুলি তার বাম কাঁধে লাগলে তাৎক্ষণিক মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হন তিনি। পরে গত ২২ আগস্ট ১১ জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী জুবায়ের হাসান ইউসুফ। এ মামলায় শমী কায়সার সন্দিগ্ধ আসামি।
সালমান এফ রহমানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ২১ জুলাই দুপুর আড়াইটায় যাত্রাবাড়ী থানাধীন ফুটওভার ব্রিজ নিচে ছাত্রজনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন সাজেদুর রহমান ওমর। পরে বিকেলে আসামিদের আক্রমণে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ আগস্ট মারা যান। এ ঘটনায় এ বছরের ৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: