মামলাজট কমাতে উদ্ভাবনী চিন্তা করতে হবে: আইনমন্ত্রী
প্রকাশিত:
৬ ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:২৫
আপডেট:
৩১ মার্চ ২০২৫ ০৮:৩৫

মামলাজট কমানোর জন্য উদ্ভাবনী চিন্তা করতে হবে এবং বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতির ওপর জোর দিতে হবে। গতানুগতিক ধারায় জট কমাতে গেলে বেশ সময় লাগবে। সেজন্য এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, জজ সাহেবরা বলবেন, তোমরা আগে আপস করে আসো, তারপর আমাকে জানাও। এটা কীভাবে আইনে অন্তর্ভুক্ত করা যায় সেটা চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীতে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর দায়রা জজদের ২৫তম জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে একটি সুদক্ষ ও বিশ্বমানের বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে চায়। এরই অংশ হিসেবে বিচার বিভাগের জন্য অত্যাধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। বিচারকদের দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে মাত্র সাড়ে তিন বছরে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, চীন ও জাপানে ৮৫৫ জন বিচারককে উন্নতমানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাব না হলে এ সংখ্যা হয়তো এতদিনে ১৫০০ ছাড়িয়ে যেত। দেশীয় প্রশিক্ষণ বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমরা ডিজিটালাইজেশনের সুফল ভোগ করছি। কিন্তু এর কুফলও আছে। সেটা হচ্ছে সাইবার অপরাধ। এটিকে মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। এই আইনে যেসব অপরাধ আনা হয়েছে, তা পেনাল কোডেও আছে। প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা কী ছিল? উত্তর হচ্ছে, পেনাল কোডে যেটা আছে, সেটা ডিজিটালি করলে আইনের দিক থেকে তা অপরাধ নয়। সেজন্যই ডিজিটাল অপরাধ রোধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের পাতায় পাতায় গণতন্ত্রকে জোরদার করার কথা বলা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাক-স্বাধীনতা বা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বন্ধ করার জন্য করা হয়নি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: