বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১


জিহ্বায় কালো দাগের কারণ


প্রকাশিত:
১৩ অক্টোবর ২০২২ ০৫:৩২

আপডেট:
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:৩১

ছবি সংগৃহীত

কোনো কোনো সময় জিহ্বায় কালো দাগ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে। বিশেষ করে বিয়ের পাত্র-পাত্রীদের জিহ্বায় কালো দাগ থাকলে বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধির কারণে বা জিহ্বার ছত্রাক সংক্রমণের কারণে। অনেক সময় জিহ্বার পাশের অংশ কালচে দেখা যায়। সিলভার এমালগাম ফিলিং সরিয়ে ফেললে অনেক সময় এ ধরনের কালোভাব চলে যায়। জিহ্বার যেখানে টেস্ট বাড রয়েছে সে স্থানের রং অনেক সময় একটু বেশি লাল হতে পারে, আবার কালচেও হতে পারে। জিহ্বার টেস্ট বাড অনেকের ক্ষেত্রে জিহ্বার স্পট বা দাগের মতো দেখা যায়। জিহ্বার কালো দাগকে সাধারণ ভাষায় পিগমেন্টেশন বলা হয়। কালো দাগ থাকার জন্য জিহ্বার স্বাদের কোনো পরিবর্তন হয় না।

কালো হেয়ারি টাং কিছু ওষুধের কারণে হয়ে থাকে, যেমন এন্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ। এছাড়া ভিটামিন স্বল্পতা ও ধূমপানের জন্যও জিহ্বা কালো হতে পারে।

করণীয়ঃ-

ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো এন্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করা ঠিক নয়। এন্টাসিড জাতীয় ওষুধের মাঝে যদি বিসমাথ থাকে তাহলে বিসমাথ ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে যা পাকস্থলিতে আলসার সৃষ্টি করে থাকে। মৃত ব্যাকটেরিয়ার কারণে জিহ্বায় কালো দাগ দেখা যেতে পারে। পেপটো বিসমল ওষুধ সেবন করলে জিহ্বা কালো হয়ে যেতে পারে।

তবে মাড়ির পাশে যদি কালো দাগ দেখা যায় তাহলে গাম বা মাড়ির ক্যান্সারের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যাবে না। ক্রমাগত ছত্রাক সংক্রমণের কারণেও জিহ্বায় কালো দাগ দেখা যেতে পারে। অনিয়মিত বা ভুল এন্টিবায়োটিক সেবনের কারণেও এমনটি হতে পারে। ক্লোরোহেক্সিডিন জাতীয় মাউথ ওয়াশও জিহ্বায় কালো দাগ ফেলতে পারে।

পিগমেন্ট রিডিউসিং কমপ্লেক্স যথার্থ প্রয়োগের মাধ্যমে জিহ্বার কালো দাগ দূর করা যায়। এছাড়া গ্যানোডার্মা লুসিডাম প্রজাতির মাশরুম বিশেষ পদ্ধতিতে প্রয়োগ করে রোগ নিরাময় করা সম্ভব।


সম্পর্কিত বিষয়:

ব্যাকটেরিয়া

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top