ত্বকের যত্নে গোলাপজলের ব্যবহার
প্রকাশিত:
১৯ অক্টোবর ২০২২ ০৩:২৪
আপডেট:
১২ মার্চ ২০২৫ ১০:২৮

ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ময়শ্চারাইজিং, ক্লিনজিং, টোনিং জরুরি। ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখতে গোলাপজল ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। এর ‘অ্যাসট্রিনজেন্ট’ উপাদান রোমকূপে ঢুকে থাকা তেল ও ময়লা বার করে আনে। নিয়মিত গোলাপজলের ব্যবহার ত্বকে তেলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস, ব্রণের মতো সমস্যা কম হয়। এ কারণে রাসায়নিক উপাদান মিশ্রিত টোনারের চেয়ে গোলাপজল অনেক বেশি উপকারী।
ত্বকে গোলাপজল ব্যবহারের উপকারিতা-
১. গোলাপজলে থাকা অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ত্বকের অনেক ক্ষত এবং সেই ক্ষত থেকে তৈরি হওয়া দাগ মিলিয়ে দিতে পারে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের প্রতিটি কোষ সজীব রাখে। ফলে ত্বক থাকে ঝলমলে।
২. অনেকেরই চোখের নীচে একটা ফোলাভাব লক্ষ করা যায়। যেহেতু ওই অংশের ত্বক খুব পাতলা হয়, তাই ওই অংশ ফুলে গেলে তা সহজেই বোঝা যায়। এ ক্ষেত্রে গোলাপজল চোখের নীচে লাগাতে পারেন। যদি ক্লান্তি বা কম ঘুমের কারণে চোখের নীচের অংশ ফোলা লাগে, তা হলে গোলাপজলের বোতল ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন।
৩. ‘মেকআপ রিমুভার’ হিসেবেও গোলাপজল বেশ কার্যকর। ত্বক শুষ্ক বা তৈলাক্ত যেমনই হোক, ত্বকের প্রতি রুক্ষ না হয়ে, এটি মেকআপ তুলে দেবে। এক চামচ নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েলের সঙ্গে দু’টেব্ল চামচ গোলাপজল মিশিয়ে মেকআপ রিমুভার হিসেবে ব্যবহার করুন। যত চড়া মেকআপই হোক উঠে যাবে। আই মেকআপ তোলার জন্যও এটি উপকারী।
৪. শরৎ কিংবা শীত, যে কোনও ঋতুতেই গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন। মুখ শুকনো লাগুক বা ঘামে ভেজা হোক মুখে একটু গোলাপজল স্প্রে করে নিলেই ত্বক সজীব থাকবে। গোলাপজলে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান থাকায় এটি ত্বকের বার্ধক্য রোধ করে।
সম্পর্কিত বিষয়:
ত্বকের উজ্জ্বলতা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: