বুধবার, ১২ই মার্চ ২০২৫, ২৮শে ফাল্গুন ১৪৩১


গরমে পেট ভালো রাখার ৫ উপায়


প্রকাশিত:
৯ মার্চ ২০২৫ ১২:২৯

আপডেট:
১২ মার্চ ২০২৫ ১৭:২৩

ছবি সংগৃহীত

শীতের পরে গ্রীষ্ম। দীর্ঘদিনের একঘেয়েমি কাটিয়ে চাঙা হওয়ার সময় এখন। ঝলমলে রোদ আর সুস্বাদু মৌসুমী ফলের উপস্থিতি মেলে এসময়। তবে তার সঙ্গে তাপপ্রবাহ, পানিশূন্যতা, পেট ফাঁপা, অ্যাসিডিটি এবং সংক্রমণের মতো হজমজনিত সমস্যার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। একটি সুস্থ অন্ত্র সামগ্রিক সুস্থতার চাবিকাঠি এবং গ্রীষ্মকালে হজমের যত্ন নিলে তা অস্বস্তি এড়াতে কাজ করে।

গরমের সময়ে পেট অর্থাৎ হজমশক্তি ভালো রাখার উপায় জেনে নিন-

১. শরীরকে স্মার্টভাবে হাইড্রেট করুন

গরমে পানি আমাদের অন্ত্রের সবচেয়ে ভালো বন্ধু, তবে তা পান করতে হবে স্মার্টভাবে। সকালে হালকা গরম পানিতে চুমুক দিলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়, অন্যদিকে ডাবের পানি এবং ডিটক্স পানীয় ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। অত্যধিক ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলুন, কারণ তা হজমকে ধীর করে দিতে পারে এবং পেট ফাঁপার কারণ হতে পারে। এসময় পুদিনা এবং মৌরির মতো ভেষজ চা-ও সতেজ রাখতে পারে।

২. ভারী এবং ভাজা খাবার থেকে সাবধান থাকুন

চর্বিযুক্ত, ভাজা এবং অতিরিক্ত মসলাদার খাবার অন্ত্রে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে যখন তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এসবের পরিবর্তে সালাদ, দই জাতীয় খাবার এবং গোটা শস্যের মতো হালকা এবং ঠান্ডা খাবার খান। অঙ্কুরিত, মসুর ডাল এবং হালকা রান্না করা শাক-সবজি হজমে সহজতর হয় এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।

৩. মৌসুমী ফল এবং শাক-সবজি উপভোগ করুন

গ্রীষ্ম বিভিন্ন ধরনের হাইড্রেটিং এবং ফাইবার সমৃদ্ধ ফল নিয়ে আসে যা প্রাকৃতিকভাবে অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। তরমুজ, শসা, পেঁপে এবং আমে প্রচুর এনজাইম এবং ফাইবার থাকে যা হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। ঘরে তৈরি দই, বাটারমিল্কের মতো গাঁজানো খাবারে উপকারী প্রোবায়োটিক থাকে, যা অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে শক্তিশালী করে এবং হজমশক্তি উন্নত করে।

৪. প্রাকৃতিক প্রিবায়োটিক এবং প্রোবায়োটিক খান

অন্ত্র ভালো ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে। গ্রীষ্মকাল প্রিবায়োটিক এবং প্রোবায়োটিক উভয়ই খাওয়ার উপযুক্ত সময়। রসুন, পেঁয়াজ এবং কলার মতো প্রিবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার অন্ত্র-বান্ধব ব্যাকটেরিয়াকে পুষ্ট করে, অন্যদিকে ঘরে তৈরি দই, গাঁজানো আচার এবং লাচ্ছির মতো প্রোবায়োটিক উৎস স্বাস্থ্যকর জীবাণু প্রবেশ করায়, পেটফাঁপা এবং অ্যাসিডিটি কমায়।

৫. খালি পায়ে হাঁটুন

ঘাস বা বালির উপর খালি পায়ে হাঁটা, যা গ্রাউন্ডিং নামেও পরিচিত, পেট ভালো রাখতে এই অভ্যাস মেনে চলতে পারেন। এটি প্রদাহ এবং চাপের মাত্রা কমিয়ে অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে পৃথিবীর পৃষ্ঠের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে, সামগ্রিক সুস্থতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও এই অভ্যাস হজম নিয়ন্ত্রণে রেখে প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের এটি একটি সহজ এবং আরামদায়ক উপায় হতে পারে।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top