মিশরের রানিদের সৌন্দর্যের রহস্য কী?
প্রকাশিত:
১৬ মার্চ ২০২৫ ১১:২৯
আপডেট:
১৬ মার্চ ২০২৫ ২০:৩৪

ক্লিওপেট্রা থেকে নেফেরতিতি। সৌন্দর্যের ইতিহাস গড়েছিলেন মিশরের এই রানিরা। রূপ, বুদ্ধিমত্তা, ব্যক্তিত্ব দিয়ে মুগ্ধ করে রাখার ক্ষমতা রাখতেন তারা। তাদের সৌন্দর্য আজও ঈর্ষণীয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো তাদের রূপচর্চা কিন্তু ঘরোয়া সাধারণ উপকরণ দিয়েই করা হতো।
রূপচর্চায় যা ব্যবহার করতেন মিশরের রানিরা। সেসবের মধ্যে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলো—
মেকআপ: মিশরীয় সাম্রাজ্যের আদি যুগ থেকে নারীরা আইলাইনার, আইশ্যাডো, লিপস্টিক এবং রুজ ব্যবহার করতেন। মরুভূমির সূর্যের তীব্র আলো থেকে চোখকে রক্ষা করার জন্য কাজল পরতেন, যা তৈরি হতো প্রাকৃতিক উপায়েই। ‘ওকর’ নামে এক প্রকার রঞ্জক মাটির সঙ্গে পশুর চর্বি বা উদ্ভিদের তেল দিয়ে তৈরি হতো লিপস্টিকের রং। সেই রং রুজ হিসেবে গালেও মাখা হতো। যদিও শোনা যায়, ক্লিওপেট্রার জন্য নাকি গুবরে পোকাকে মেরে লিপস্টিকের নিখুঁত লাল রং তৈরি হতো।
কিন্তু কেবল মেকআপই তাদের সৌন্দর্যের রহস্য নয়। কোনো রকম মেকআপ করার আগে এবং পরে তারা ত্বকের যত্ন নিতেন।
ত্বকের যত্ন: ডেড সির লবণ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতেন কেউ কেউ। কেউ আবার দুধ দিয়ে স্নান করে ত্বকের যত্ন নিতেন। দুধ ও মধুর মিশ্রণ খুবই জনপ্রিয় ছিল সেকালে। তাছাড়া ফুল বা মশলা মিশ্রিত তেল লাগাতেন তারা। রানি ক্লিওপেট্রা নাকি নিয়মিত দুধ দিয়েই স্নান করতেন। দুধের মধ্যে মেশানো হতো ল্যাভেন্ডার, মধু এবং গোলাপের পাপড়ি। বিলাসবহুল এই স্নান অকালবার্ধক্য রোধ করার ক্ষমতা ধরে এবং ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে আর্দ্রতা দেয়।
চুলের যত্ন: চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য অলিভ অয়েল অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটি ত্বককে নরম এবং চুলকে সজীব রাখে। তা ছাড়া ক্যাস্টর অয়েল, সজনে পাতা, তিলের বীজের মিশ্রণ দিয়েও বিশেষ তেল তৈরি করে চুলে মাখতেন মিশরীয় রাজ্ঞীরা। হেনা পাতা বেটে সেটি মেখেও কেশচর্চা করতেন তারা। তা ছাড়া লিঙ্গ নির্বিশেষে পরচু্লা পরতেন বলেও জানা গিয়েছে।
ফেসমাস্ক: মুখের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে ফেসমাস্ক ব্যবহার করতেন, যা তৈরি করা হত মূলত ডিম দিয়ে। এ ছাড়া অলিভ অয়েলও ছিল তাদের ত্বকচর্চার বিশেষ অঙ্গ।
গোলাপ জলের ব্যবহার: স্নানের সময় এবং স্নানের পরে গোলাপজলের ব্যবহার ক্লিওপেট্রার সময় থেকেই জনপ্রিয়। তা আজও সেই দেশের মেয়েদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
সুগন্ধি: প্রাচীন মিশরীয়দের কাছে সুগন্ধি এবং শরীরে মাখার তেল ছিল যৌন উদ্দীপক। মসৃণ, সুগন্ধযুক্ত ত্বক, সৌন্দর্য এবং যৌনতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই প্রসাধন সামগ্রীর মধ্যে সুগন্ধি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ওয়াক্সিং (লোম অপসারণ): গরম মোমের বদলে মিশরীয়রা মধু এবং চিনির মিশ্রণ দিয়ে ওয়াক্সিংয়ের একটি প্রাকৃতিক পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন। এতে ব্যথাও কম হতো।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: