চুলপড়া রোধে যে খাবার খেতে হবে প্রতিদিন
প্রকাশিত:
৯ জুন ২০২১ ০০:২৫
আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ১৮:৫১

বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকেরই চুল কমে যেতে শুরু করে এমনটা অনেকের ধারনা ছিল। তবে অনেকের আবার অল্প বয়সেই টাকপড়া শুরু হয়। চুল পড়া রোধ করতে হলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কয়েকটি খাবার রাখলে টাক পড়া অনেকটা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। পুষ্টিবিদদের মতে, চুলের ঘনত্ব বাড়াতে বা চুল ওঠা কমাতে তিনটি খাবার বেশ উপকারী।
যেমন:
আমন্ড বা কাঠবাদাম: এই বাদামে প্রচুর পরিমাণে বায়োটিন নামের যৌগ আছে। এটি চুলের ঘনত্ব বাড়াতে এবং চুল ওঠা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ৮-১০টা কাঠবাদাম সকালে খালি পেটে খেলে টাকপড়া অনেকটা প্রতিরোধ হয়।
ডিম: ডিমেও বায়োটিন বা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৭ রয়েছে। তাই যারা চুল উঠে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত, নিয়মিত ডিম খেলে উপকার পাবেন। এর বাইরে ডিমে প্রচুর প্রোটিনও রয়েছে। এটিও চুলের বৃদ্ধি এবং চুল শক্ত করতে সাহায্য করে।
স্ট্রবেরি: এই ফলে প্রচুর উপকারী সিলিকা রয়েছে। চুলের বৃদ্ধির অন্যতম উপাদান এটি। নিয়মিত স্ট্রবেরি খেলে চুলের বৃদ্ধি ভালো হয়। এ ছাড়াও স্ট্রবেরিতে এলাজিক অ্যাসিড রয়েছে। এটি চুল ওঠা আটকায়।
আমলকি: চুল সুন্দর করে- আমলকি পাতার মতো আমলকিও চুলের জন্য কার্যকরী এক টনিক। এটি চুল পড়া বন্ধ করে। খুশকি রোধ করে, চুলের ফলিকেলগুলো শক্তিশালী করে এবং মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। যার ফলে চুলের বৃদ্ধি ঘটে।
আমলকি একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবেও কাজ করে। আমলকির হেয়ারপ্যাক ব্যবহারের ফলে চুল হয় ঝলমলে, কোমল আর শক্তিশালী। নিয়মিত আমলার তেল ও হেনাতে আমলা গুঁড়ো মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারে।
একটি মাঝারি আকারের কমলার চেয়েও ছোট্ট একটি আমলকিতে বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এমনকি ডালিমের চেয়ে ১৭ গুণ বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেসন্ট আছে- এমনই মত বিজ্ঞানীদের। হাজারো পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল হজমশক্তি বাড়ানো থেকে শুরু করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে।
আয়ুর্বেদ মতে, ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণেও কার্যকরী আমলকি। এক আমলকির আছে হাজারো গুণ। বার্ধক্য প্রতিরোধে, চুল ঘন ও লম্বা করতে এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়তা করে এটি। আমলকি অন্যতম টনিক। ত্বক উজ্জ্বল করে, রক্তকে বিশুদ্ধ করতে এবং চোখের দৃষ্টিও উন্নত করতে সহায়তা করে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: