মঙ্গলবার, ১৮ই মার্চ ২০২৫, ৪ঠা চৈত্র ১৪৩১


বেশিদিন বাঁচতে চান? এই খাবারগুলো অতিরিক্ত খাবেন না


প্রকাশিত:
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২৩:৪৫

আপডেট:
১৮ মার্চ ২০২৫ ১১:০৬

ফাইল ছবি

স্বাস্থ্যকর খাওয়ার অর্থ হলো সঠিক খাবার এবং সঠিক পরিমাণে পুষ্টি নির্বাচন করা। আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য এটি জরুরি। দীর্ঘায়ুর সঙ্গে আপনি যে ধরনের খাবার খান শুধু তাই নয়, আপনি কী পরিমাণে খান সেটিও জড়িত। তাই খাবার খাওয়ার সময় এর পরিমাণের দিকেও নজর দেওয়া জরুরি।

স্বাস্থ্যকর খাবার আপনার স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে, কিন্তু যদি আপনি সুষম খাদ্য থেকে দূরে সরে যান, তাহলে এটি আপনার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও পুষ্টি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে পুষ্টির অতিরিক্ত ব্যবহার বা অতিরিক্ত পুষ্টি আসলে অনেকের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। জেনে এমন এমনকিছু পুষ্টি সম্পর্কে যা অতিরিক্ত খাওয়া আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে-

ট্রান্স ফ্যাট হলো সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর ধরনের ডায়েটারি ফ্যাট, যা শুধু খারাপ কোলেস্টেরলই বাড়ায় না, ভালো কোলেস্টেরলও কমায়। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, অতিরিক্ত ট্রান্স ফ্যাট আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। হৃদরোগ হলো বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক রোগ। পাশাপাশি এই ফ্যাট টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ট্রান্স ফ্যাটের মতো স্যাচুরেটেড ফ্যাটও অস্বাস্থ্যকর। এটি ধমনীতে কোলেস্টেরল তৈরি করতে সাহায্য করে, বাড়ায় খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা। এটি হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ায়।

সোডিয়াম

সোডিয়াম যতটা প্রয়োজনীয়, স্বাস্থ্যের জন্য ততটাই ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের কারণ হতে পারে। এটি আপনার হাড়কে দুর্বল করে দিতে পারে, ক্যালসিয়ামের ক্ষতির কারণ হতে পারে। যেহেতু প্যাকেটজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকে, তাই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি সত্যিই আপনার স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

চিনি

চিনিযুক্ত খাবার অবশ্যই সুস্বাদু। তবে এটি অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর এবং স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন দাবি করে যে, চিনিযুক্ত পানীয়গুলোতে প্রায় ৪৭% যোগ চিনি থাকে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ এবং ফ্যাটি লিভারের রোগের কারণ হতে পারে, যা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

নাইট্রেটস

নাইট্রেট রাসায়নিক যৌগকে এক ধরনের পুষ্টি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নাইট্রেটযুক্ত খাবার হৃদস্পন্দন, বমি বমি ভাব, মাথাব্যাথা এবং পেটে খিঁচুনিসহ নানা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে, নাইট্রেট সমৃদ্ধ খাবার খেলে তা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।

আয়রন

অতিরিক্ত আয়রন শরীরের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে টিস্যু এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে আয়রন তৈরি করতে পারে। এটি অতিরিক্ত খেলে তা বাত, লিভারের সমস্যা, ডায়াবেটিস, হার্ট ফেইলিওর এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top