প্রাকৃতিক উপায়েই দূর হবে মুখের অবাঞ্চিত লোম
প্রকাশিত:
১৯ অক্টোবর ২০২১ ০১:৩৮
আপডেট:
১২ মার্চ ২০২৫ ২১:৫৭

মুখে অতিরিক্ত লোম কারোই পছন্দ নয়। আর মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি এক মহা সমস্যা। নারীদের হেয়ার গ্রোথ পুরুষের মতো না হলেও অনেক সময় ঠোঁটের ওপরে , জুলপির জায়গায় এবং কানের পাশের ত্বকে অবাঞ্চিত লোমের দেখা দেয়। এই অবস্থা থেকে তৎক্ষণাত মুক্তি পেতে অনেকেই পার্লারে গিয়ে বা ঘরেই থ্রেডিং করে থাকেন। তবে ত্বকের সেনসিটিভির ফলে পরে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। এমনকি সঠিক উপায়ে থ্রেডিং না করলে, অল্প বয়সেই ত্বকে ভাজ পড়তে দেখা যায়। তাই প্রাকৃতিক উপায়েই এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার কার্যকরী পদ্ধতি জেনে নেওয়া যাক-
ওটস এর গুড়ো ও পাকা কলা মিশিয়ে চামচ দিয়ে ভালোভাবে চটকে নিন। তারপর মুখের যেই জায়গা গুলোতে লোমের ঘনত্ব বেশি সেখানে মেসেজ করুন। ১৫-২০ মিনিট পর প্যাকটি শুকিয়ে গেলে হালকা পানি লাগিয়ে আলতো ভাবে ত্বকে মালিশ করে ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইদিন এই পদ্ধতি কাজে লাগালে হেয়ার গ্রোথ এবং লোমের ঘনত্ব অনেকখানি কমে আসবে।
এই পদ্ধতি ছাড়াও আরেকটু সহজ উপায়ে রোজকার ত্বকের যত্নে, এক চা চামচ মধুতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পুরো মুখে লাগাতে পারেন। এই মিশ্রণ নিয়মিত ব্যবহার করলে নিজেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন। মধু ত্বক কোমল করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়। আর লেবু ত্বকে অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব দূর করে আলাদা এক গ্লো দেয়।
কিন্তু অনেক সময় বড় রোগের লক্ষণ হিসেবেও ফেসিয়াল হেয়ার গ্রোথ মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে যায়। তবে তার বাইরে আরো অনেক কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন- পুরুষের শরীরের এন্ডোজেন হরমোন সামান্য মাত্রায় মহিলাদের শরীরেও থাকে। এই হরমোন হঠাৎ বেড়ে গেলে মুখে, এমনকি শরীরেও লোমের ঘনত্ব বেড়ে যায়। প্রোটিন জাতীয় খাবার এই হরমোনের কার্যক্ষমতা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়াও মাসিক/ঋতুস্রাবে অনিয়ম হলেও এই অবস্থা দেখা দেয়। কিন্তু যদি স্বাভাবিকের চেয়ে অতিমাত্রায় সমস্যা বেড়ে যায় সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: