জেনে নিন শরীর ও মন ভালো রাখার সহজ ১০ উপায়
প্রকাশিত:
৫ ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:০৭
আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ০৫:৫৫

মনের স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে শরীরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এজন্য ফিট ও সুস্থ থাকতে অবশ্যই মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া জরুরি। তবে কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেরই দু’দিন বসে কাটানোর ফুরসত নেই। এ কারণেই মানুষের মধ্যে চাপ ও উদ্বেগ বাড়ছে। দীর্ঘদিন এভাবে থাকতে থাকতে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে।
নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখার দায়িত্ব কিন্তু আপনারই। তাই মানসিক রোগ যেন বাসা না বাঁধে সেদিকে সময় থাকতে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ১০ উপায় মেনে চলুন-
পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে : ঘুম শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। যদি আমরা পর্যাপ্ত না ঘুমায়, তাহলে মস্তিষ্কে বিভিন্ন অংশ ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। ফলে হতাশ ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়া স্বাভাবিক। তাই পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই।
পুষ্টিকর খাবার : পুষ্টিকর খাবার শুধু শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং মনের জন্যও উপকারী। আপনি যদি খিটখিটে মেজাজ, হতাশা বা উদ্বিগ্নতায় ভোগেন তাহলে কফি খাওয়া কমিয়ে আনুন।
অ্যালকোহল, ধূমপান ও মাদক পরিহার : অনেকেই হতাশ হয়ে ধূমপান ও মাদকের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তবে দীর্ঘ সময় ধরে অতিরিক্ত মদ্যপানে শরীরে থায়ামিনের ঘাটতি হতে পারে। থায়ামিন মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সূর্যের আলো গায়ে মাখুন : সূর্যালোক ভিটামিন ডি এর একটি বড় উৎস। ভিটামিন ডি শরীর ও মস্তিষ্কের খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি মস্তিষ্কের ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে। ফলে মেজাজ আরও উন্নত হয়। কারণ অ্যান্ডোরফিন ও সেরোটোনিন এর উৎপাদন বেড়ে যায়। তবে রোদে গেলে ত্বক ও চোখকে নিরাপদ রাখুন।
দুশ্চিন্তা দূরে রাখুন : সবার জীবনেই কাজের চাপ আছে। তাই বলে এ নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করা উচিত নয়। দৈনন্দিন জীবনের কোনো না কোনো সমস্যার তালিকা তৈরি করুন। এরপর তা সমাধানের উপায় খুঁজুন। অযথা অলীক কল্পনায় ডুবে থাকবেন না। যখন দেখবেন আপনার ঘুমাতে সমস্যা হচ্ছে, তার অর্থ হলো আপনি বেশি দুশ্চিন্তা করছেন!
শরীরচর্চা আবশ্যক : মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। কারণ যত বেশি সক্রিয় থাকবেন, মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থগুলোও বেড়ে যায়। যা মেজাজ ভালো রাখতে সহায়তা করে।
যা ভালো লাগে, তা-ই করুন : আপনার যা ভালো লাগবে বা করতে ইচ্ছে করবে তা-ই করুন। আপনি যা উপভোগ করেন সেই কাজগুলো যখন করবেন তখন মনও ভালো থাকবে।
মিশুক হওয়ার চেষ্টা করুন : অন্যান্যের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করুন। যখনই সুযোগ পাবেন মানুষের সঙ্গে কথা বলুন।
অন্যের জন্য কিছু করুন : কাউকে সাহায্য করলে নিজের মধ্যেও অন্যরকম ভালো লাগার অনুভূতি কাজ করে। তাই অন্যের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।
সাহায্য নিন : আপনি যদি মানসিকভাবে অসুস্থ বোধ করেন তাহলে অন্যের সাহায্য নিন। নিজের অসুবিধার কথা সবার সঙ্গে শেয়ার করুন। কারণ অত্যধিক মানসিক চাপে আপনি বিকারগ্রস্তও হয়ে পড়তে পারেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: