আলতুফালতু লোক ছাত্রলীগে না ঢোকানোর নির্দেশ: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত:
১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০১:৪২
আপডেট:
৩১ মার্চ ২০২৫ ১৫:০৯

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ছাত্রলীগ জাতির পিতার হাতে গড়া। আমি জানি, ছাত্রলীগ সম্পর্কে অনেক কথা লেখা হয়। এত বড় একটা সংগঠন, তার মধ্যে কিছু কিছুতো... আমরা ক্ষমতায় আছি বলে অনেকেই ভেতরে ঢুকে যায়। দলে ঢুকে অনেকে গোলামাল করে, বদনামটা হয় ছাত্রলীগের।’
বুধবার (৩১ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি, আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনশক্তি চাই। কারণ চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসবে, তার উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে আমাদের আজকের প্রজন্ম বা প্রজন্মের পর প্রজন্ম নিজেকে প্রস্তুত করবে।
এখন তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের যুগ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষায়-দীক্ষায় উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। সেভাবে নিজেদেরকে তৈরি করতে হবে। কারণ দেশ চালাতে গেলে শিক্ষা, জ্ঞানের প্রয়োজন আছে এবং ইতিহাস জানার প্রয়োজন আছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের পর আমরা ক্ষমতায় এসেছি। বাংলাদেশের এত উন্নতি আমরা করতে পেরেছি, একটা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে উন্নীত করতে পেরেছি; যেটা জাতির পিতা স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে রেখে গিয়েছিলেন।
আমাদের অনেক দূর যেতে হবে বলে মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, আমি পরিকল্পনা করে দিয়ে যাচ্ছি। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ যেমন হবে, ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান সেটাও প্রমাণ করে দিয়েছি। কাজেই আগামীতে সেটা অনুসরণ করলে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে পারবে।
বিশ্বে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ অবস্থা হবে বলে সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের নিজেদের খাবার নিজেদেরই উৎপাদন করতে হবে। ছাত্রলীগ যেমন ধান কাটায় সাহায্য করেছে, দরকার হলে তা রোপণেও সাহায্য করবে।
আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রকৃত দেশপ্রেমিক হতে হবে, অসাম্প্রদায়িক চেতনা উদ্বুদ্ধ হতে হবে, স্বাধীনতার আদর্শে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গড়ে উঠতে হবে বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নিজেকে গড়ে তুলতে হবে, যেন সঠিক নেতৃত্ব দেওয়া যায়। ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা কাজে লাগে না। করোনার সময় অনেক ধনী মানুষের টাকার পাহাড়ও কিন্তু কাজে লাগেনি। মাথায় রাখতে হবে– এটাই বাস্তবতা, এটাই সত্য।’
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পড়াশোনার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার লেখা আমার দেখা নয় চীন, কারাগারের রোজনামচা, অসামাপ্ত আত্মজীবনী পড়লে অনেক কিছু জানা যাবে। সিক্রেট ডকুমেন্ট সবাইকে পড়ার অনুরোধ করছি। সেটা পড়ে অনেককিছু শেখার আছে, জানার আছে। রাজনীতির অনেক জ্ঞান অর্জন করা যাবে।’
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকা ও ইউরোপের অর্থনীতির অবস্থা ভয়াবহ। আমরা আগে থেকেই যদি সাবধান হতে পারি, তাহলে সামাল দিতে পারবো। প্রত্যেকে নিজের ঘরে, হলে, ক্লাস থেকে বের হওয়ার সময় সুইচগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। এভাবে আমাদের বিদ্যুৎ, পানি ও জ্বালানি সাশ্রয় করতে হবে। অহেতুক ঘোরাঘুরির দরকার নেই। পায়ে হাঁটলে স্বাস্থ্য ভালো হয়, শরীর চর্চাও হয়।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
সম্পর্কিত বিষয়:
প্রধানমন্ত্রী
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: