রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অসত্য বক্তব্য, সংসদে নিষিদ্ধ এক কর্মচারী নেতা
প্রকাশিত:
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:১১
আপডেট:
২ এপ্রিল ২০২৫ ০৫:১৭
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে নিয়ে অসত্য বক্তব্য দেয়ায় সংসদ এলাকায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে সংসদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা সমিতির সাবেক সভাপতি মো. আতর আলীকে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সরকারি চাকরিজীবী হয়েও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিত্বকে নিয়ে অসত্য বক্তব্য দেয়ায় তাকে সংসদ এলাকায় নিষিদ্ধ করা হয়। এমনকি তার তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না সে বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। সংসদের একাধিক সূত্র ও আতর আলীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
৬ সেপ্টেম্বর সংসদের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ খালেদুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। সেখানে লেখা হয়, ‘আপনি মোহাম্মদ আতর আলী বিগত ১৭ আগস্ট ২০২০ খ্রিস্টাব্দ তারিখে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় আয়োজিত আলোচনা সভা দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অসত্য বক্তব্য প্রদান করেন। যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের সকল ব্যক্তির ঊর্ধ্বে স্থান লাভ করেন, কোনো ব্যক্তির পক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে প্রকাশ্যে কোনো অসত্য বক্তব্য প্রদান দেশের সংবিধান পরিপন্থী।’
‘যেহেতু আপনি মহামান্য রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অসত্য বক্তব্য প্রদান করেছেন বা একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে অনুচিত ও যেহেতু আপনার উপরোক্ত আচরণ একজন সরকারি কর্মচারীর জন্য অশোভনীয় আচরণ এবং সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা পরিপন্থী যা জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০০৫ এর ৩ এর ক মোতাবেক অসদাচারণ হিসেবে গণ্য যেহেতু আপনাকে জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্মচারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০০৫ এর ৩ (ক) দায়ে অভিযুক্ত করে কেন উক্ত বিধিমালার অধীনে যথোপযুক্ত দণ্ড প্রদান করা হবে না সে বিষয়ে এ নোটিশ প্রাপ্তির তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
এ বিষয়ে মো. আতর আলী বলেন, ‘ওই বক্তব্য দেয়ার কারণে আমাকে সংসদ এলাকায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমি কী আর করব? কপালে যে দুর্ভোগ আছে তাই হবে। কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার পরদিনই আমি জবাব দিয়েছি।’
ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংসদের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ওই অনুষ্ঠানটি হয় সংসদের শপথ কক্ষে। আর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ভার্চুয়ালি তাতে অংশ নেন। কর্মচারীদের পক্ষ থেকে আতর আলী বক্তব্য রাখেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্পিকার থাকার সময় এ ধরনের অনুষ্ঠান হয়নি বলে অসত্য তথ্য দেন আতর আলী। এছাড়াও অনেক নেতিবাচক কথা বলেন তিনি। যা অসত্য। এজন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: