১৩ জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ৬২১৮ জন
প্রকাশিত:
২৯ মার্চ ২০২০ ০২:২৬
আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২০ ০২:২৬

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বরিশালের ৬ জেলাসহ দেশের ১৩ জেলায় ৬ হাজার ২শ ১৮ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। জেলা ও বিভাগভিত্তিক খবর-
বরিশাল: বিভাগের ৬ জেলায় ১হাজার ৫শ ৫১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া ১২০৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্র শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, গত ১০ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ শনিবার পর্যন্ত বরিশাল সিটি কর্পোরেশনসহ বিভাগের ৬ জেলায় মোট ২ হাজার ৭৫৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। এর মধ্যে থেকে এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ২০৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী ও ঝালকাঠি জেলায় কাউকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়নি। বাকি চার জেলায় ৩৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে এবং ১৫১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা: এ পর্যন্ত মোট ২ হাজার ১৫৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া হোমকোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পত্র দেয়া হয়েছে আরো ৭৩ জনকে। এদিকে, সাতক্ষীরার ভোমরাস্থল বন্দরসহ সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারী করা হয়েছে। কেউ যাতে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ২ হাজার ৫শ ৪৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। এদের মধ্যে মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ায় ১৮০০ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ৭শ ৪৫ জনকে প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এদিকে কনোরায় আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া হার্ট ফাউন্ডেশন ও পৌর আধুনিক সুপার ভবনের ৩য় তলা চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
চাঁদপুর: বিদেশ থেকে চাঁদপুরে ফেরা বর্তমানে ৩৩১জন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় রয়েছেন। এতে এ পর্যন্ত ১৮৪৪জন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ করে তা থেকে মুক্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে ভারত থেকে একজন আগত ছাড়া নতুন প্রবাসী এখনো চাঁদপুরে আসার খবর পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন দেশ থেকে চাঁদপুরে যে ক’জন প্রবাসী এসেছেন জেলা প্রশাসনের নির্দেশে তাদের প্রত্যেককে করোনাভাইরাস থেকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে নিজ নিজ বাড়িতে নিজ দায়িত্বে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। চাঁদপুর সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ সাখাওয়াত উল্ল্যাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কুড়িগ্রাম: জেলার ৯ উপজেলায় মোট ৫৪০ জন বিদেশ ফেরত প্রবাসী এসেছে। এদের মধ্যে ৩১৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা সম্ভব হয়েছে। শনিবার কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডাঃ হাবিবুর রহমান জানান, যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন তারা সকলে সুস্থ রয়েছেন। করোনা মোকাবেলায় প্রস্তুতি হিসেবে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় কুড়িগ্রাম জেলার জন্য ৬৫০ পিপিই পেয়েছি। যা জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ: বিদেশ ফেরত ৮৯০ প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। অবশ্য শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বিদেশ ফেরত ৫৫ জনকে নতুন করে হোমে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন ডা. এ বি এম মসিউল আলম।
গাইবান্ধা: ২২৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া নতুন ২ জনসহ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মোট ৪ জনকে সুন্দরগঞ্জ ও গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেসন ইউনিটে রাখা হয়েছে। এছাড়া বগুড়ার ৯ জন সাদল্লাপুর উপজেলায় বিয়ে বাড়িতে আসায় তাদেরকে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে বগুড়ায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের কোন চিহ্ন না পাওয়ায় ১৩ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ জানান এ তথ্য জানান।
সিলেট: সর্দি-কাশি ও জ্বর নিয়ে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের (সদর হাসপাতাল) কোয়ারেন্টাইনে ভর্তি হয়েছেন। শুক্রবার রাতে তিনি হাসপাতালে আসেন। জানা গেছে, তিনি সিলেটে আসার সময় তার পাশে বসা ছিলেন এক প্রবাসী। এ ধারণা থেকেই তিনি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ভর্তি হয়েছেন। সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের (স্বাস্থ্য) সহকারি পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. মো. আনিসুর রহমান জানান, গত রাতে ওই শিক্ষার্থী ঢাকা থেকে সিলেটে আসেন। ফেরার পথে তার শরীরে জ্বর দেখা দেয়। সঙ্গে সার্দি-কাশিও ছিল। তাই তিনি বাড়িতে না গিয়ে রাতেই শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে আসেন। পরীক্ষার জন্য তার শরীরের স্যাম্পল শুক্রবার আইইডিসিআর-এ পাঠানো হতে পারে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: