ইন্ডিয়ায় আটকপড়াদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিত:
৩০ মার্চ ২০২০ ০২:৩৪
আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ০২:০৫

ভারতের তামিলনাড়ুর ভেলর রাজ্যে চিকিৎসার জন্য গিয়ে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিগগির তাদের দেশে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গতকাল রোববার বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বিষয়টি জানিয়েছে।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে অনেকের চিকিৎসা বন্ধ। কারো কারো চিকিৎসা শেষ হলেও দেশে ফিরতে পারছেন না। ওষুধ ও খাবার সংগ্রহের মতো জরুরি কাজে রাস্তায় বের হলেই পুলিশ ছাড়াও স্থানীয়রা মারপিট করছে। ফোর্ট সিটি বা দুর্গের শহর হিসেবে পরিচিত জেলাটিতে আটকা পড়া বাংলাদেশিরা এখন মূলত বন্দি। সুস্থ হওয়ার জন্য গিয়ে এখন তারা শারীরিক ও মানসিক রোগী হয়ে পড়ছেন। ভারত সরকার তাদের নাগরিকদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিলেও বাংলাদেশিদের দেখার কেউ নেই।
এজন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে তারা আবেদন করেছেন যেভাবেই হোক তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার। ভেলোরে আটকে পড়া রোগী আদিত্য কর্মকার বলেন, করোনাভাইরাসে যদি মরতেই হয় তাহলে নিজের দেশের মাটিতে মরতে চাই। নিজের মা-বাবা এবং পরিবারকে একবার দেখে মরতে চাই। ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশ হাইকমিশনের বিভিন্ন অফিসে ফোন দিয়েও কোনো বিশ্বাসযোগ্য সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। আমি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি, আমাদের এখান থেকে দ্রুত উদ্ধার করার ব্যবস্থা করা হোক।
সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি গত ৫ মার্চ মায়ের লিভার চিকিৎসার জন্য ভেলোরে আসি। ২৪ মার্চ মাকে রিলিজ দেয়া হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সিএমসি পুরোপুরি চিকিৎসা করেনি। এরপর থেকে দেশে ফেরার আর কোনো ফ্লাইট পাচ্ছি না। এখন আমরা হোটেলে বন্দি। ভারতের সরকার তাদের নাগরিকদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশিদের দেখার কেউ নেই। আমাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে না পারলেও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। এ নিয়ে সংবাদ প্রচারের পর সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হলো।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রোববার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ভারতে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ। আমরা শুনতে পাচ্ছি চিকিৎসা নিতে গিয়ে সেখানে কিছু বাংলাদেশি আটকা পড়েছেন এবং তাদের থাকতে অসুবিধা হচ্ছে। আমাদের দূতাবাস ইতোমধ্যে একটি প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত করেছে। যারা ফিরে আসতে চান তাদের সবাইকেই আশকোনা হজক্যাম্পে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: