স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করবেন ৫০ জলদস্যু
প্রকাশিত:
৩০ মে ২০২৪ ১৪:০১
আপডেট:
১২ মার্চ ২০২৫ ১৬:৫৯

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকার ১২ বাহিনীর ৫০ জলদস্যু। এর মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম র্যাব আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দস্যুরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন।
র্যাব জানায়, সংস্থাটির চট্টগ্রাম ইউনিটের উদ্যোগে এর আগে ২০১৮ এবং ২০২০ সালে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলের ৭৭ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছিল। এটি অন্যান্য জলদস্যুদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। একপর্যায়ে চট্টগ্রামে বাঁশখালী এবং কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া অঞ্চলের জলদস্যুরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আশার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম র্যাব তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়।
র্যাব জানিয়েছে, বাংলাদেশের সীমানার একটি বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। এই সাগরকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয় উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকা। বিশাল এই উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর উপার্জনের অন্যতম আশ্রয়স্থলকে কণ্টকাকীর্ণ করে রাখে অস্ত্রধারী জলদস্যুরা। তাদের দমনে সরকারের কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে র্যাব সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছে। র্যাবের কঠোর ভূমিকায় ইতোমধ্যে সুন্দরবন অঞ্চলের জলদস্যুরা বিগত সময়ে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে।
এর ফলে ২০১৮ সালের গত ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অঞ্চলে র্যাবের কঠোর পদক্ষেপের ফলে ২০১৮ এবং ২০২০ সালে র্যাব-৭ এর তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে সর্বমোট ৭৭ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করে। এতে অত্র অঞ্চলের জলভাগে দস্যুতার ঘটনা কমে গেছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আত্মসমর্পণ চট্টগ্রাম কক্সবাজার র্যাব জলদস্যু
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: