রাজউকে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া
প্রকাশিত:
১০ জুন ২০২৪ ১৭:৩৩
আপডেট:
৩১ মার্চ ২০২৫ ১১:৫১

অগ্নিনিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি ও অগ্নিনির্বাপণ বিষয়ক প্রায়োগিক মহড়া করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সোমবার (১০ জুন) রাজউকে এই অগ্নিনির্বাপণ বিষয়ক প্রায়োগিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) মেজর ইঞ্জিনিয়ার সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.) বলেন, অগ্নিদুর্ঘটনাগুলো জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত। সাম্প্রতিক সময়ে চকবাজার, নিমতলী, বেইলি রোডসহ অন্যান্য দুর্ঘটনায় ব্যাপক জীবন ও সম্পদের হানি হয়েছে। অগ্নি দুর্ঘটনায় আগুনে প্রাণহানি হলেও, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রাণহানি ঘটে দম বন্ধ হয়ে। রাজউক যেহেতু উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করে, তাই আমাদের অগ্নিদুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করতে হবে। এছাড়াও ইমারত বিধিমালায় এই বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে যথাযথ ও সময়োপযোগী ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা নিজেরা সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অগ্নিদুর্ঘটনার সম্মুখীন হলে করণীয় সর্ম্পকে অবগত হয়ে নিজের পরিবারের ও আশেপাশের মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করব।
রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার (অব.) বলেন, বর্তমান সময়ে অগ্নিনিরাপত্তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমানে পুরো দেশে ব্যাপক শিল্পায়ন ও নগরায়ণের সঙ্গে সঙ্গে অগ্নিকাণ্ড এবং অগ্নিদুর্ঘটনার সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। তার মধ্যে রাজধানী ঢাকা শহরে অগ্নিদুর্ঘটনার সংখ্যা দেশের অন্য যেকোনো এলাকার চেয়ে বেশি। অগ্নিদুর্ঘটনায় স্বল্প সময়ের মধ্যে ব্যাপক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের সবাইকে অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে সচেতন হতে হবে। ভবন মালিকরা ইমারত তৈরি করেন কিন্তু যথাযথ পরিবীক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে সচেতন থাকেন না। তারা ব্যয়বহুল বহুতল ভবন নির্মাণ করেন, কিন্তু অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়ে উদাসীন থাকেন। বেশিরভাগ অগ্নিদুর্ঘটনা অন্যতম প্রধান কারণ আমাদের গাফিলতি।
রাজউক চেয়ারম্যান অগ্নিনিরাপত্তা ও দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে জোর দিয়ে বলেন, বিভিন্ন সংস্থা, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রাজউককে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। ভবন মালিকদের সচেতন করতে হবে। বাসা-বাড়িতে গৃহিণীদের অগ্নিদুর্ঘটনা ও দুর্ঘটনা মোকাবিলায় সচেতন করতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: