শুক্রবার, ২১শে মার্চ ২০২৫, ৬ই চৈত্র ১৪৩১


বাংলাদেশের সঙ্গে এফওসি বিষয়ক সমঝোতা স্মারক সই করতে রাজি লিবিয়া


প্রকাশিত:
২০ মার্চ ২০২৫ ১২:৩৯

আপডেট:
২১ মার্চ ২০২৫ ০১:৪৫

ছবি সংগৃহীত

লিবিয়ার ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাহের আল-বাউরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে তারা দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে একমত হন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) লিবিয়ার ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের শুরুতে উভয়পক্ষ লিবিয়া-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে পরস্পরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তারা এই সম্পর্ককে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং দুই দেশের সরকার ও জনগণের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় ও বিস্তৃত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে উভয়পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে দুদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে একমত হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তাবিত খসড়া স্মারকের প্রতি লিবিয়া ইতোমধ্যে সম্মতি প্রদান করেছে। স্মারকটি দ্রুত চূড়ান্ত করতে উভয় পক্ষ একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এই সমঝোতা স্মারক ভবিষ্যতে দুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে এবং নতুন নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রদূত বৈঠকে লিবিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের সার্বিক কল্যাণ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে লিবিয়া সরকারের সহযোগিতা ও বিশেষ সুদৃষ্টি কামনা করেন। বিশেষ করে তিনি লিবিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মরত বাংলাদেশি পেশাজীবীদের দীর্ঘদিন ধরে বেতন বিলম্বের কারণে সৃষ্ট দুর্দশার কথা উল্লেখ করেন।

তিনি এই সমস্যা দ্রুত সমাধানে লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশি পেশাজীবীদের ধৈর্য ও নিষ্ঠার প্রশংসা করেন এবং বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাধ্যমে দ্রুত সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

এছাড়া, বৈঠকে লিবিয়ায় অনিয়মিত অভিবাসন সংকট নিয়ে আলোচনা হয়। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সরকারের অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এই বিষয়ে লিবিয়া সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি লিবিয়ায় বাংলাদেশি নাগরিকদের অপহরণ, মুক্তিপণের জন্য নির্যাতন এবং কর্মরত কর্মীদের অনাকাঙ্ক্ষিত আটকের ঘটনা বন্ধে লিবিয়া সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

বৈঠকের শেষ পর্যায়ে মান্যবর রাষ্ট্রদূত লিবিয়ায় বিপদগ্রস্ত ও মানবপাচারের শিকার বাংলাদেশি নাগরিকদের আইওএম, দূতাবাস এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেশে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে খুরুজ নিহায়ী-এর জন্য জরিমানা মওকুফ এবং দুখুল ও পুলিশ রিপোর্টসহ বিভিন্ন কাগজপত্র থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিবিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকদের কল্যাণে রাষ্ট্রদূতের উত্থাপিত বিষয়গুলো দ্রুত সমাধানে লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করবে বলে আশ্বস্ত করেন।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top