রবিবার, ২৩শে মার্চ ২০২৫, ৯ই চৈত্র ১৪৩১


সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইন ও ‘ওয়ান হাউজ ওয়ান মিডিয়া’র সুপারিশ


প্রকাশিত:
২২ মার্চ ২০২৫ ১৫:৫৪

আপডেট:
২৩ মার্চ ২০২৫ ১১:০৬

ছবি সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠন করা গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন তাদের সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিয়েছে। সেখানে কমিশন সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইন এবং ‘একটি প্রতিষ্ঠান একটি গণমাধ্যমের মালিক হতে পারবে’ বলে সুপারিশ দিয়েছে। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের নবম গ্রেডের স্কেলের সমান বেতন ও সাংবাদিকতা করতে হলে ন্যূনতম স্নাতক পাসের প্রস্তাব করা হয়েছে।

শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেন কমিশনের সদস্যরা। পরে সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ এ ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

কমিশনের প্রধান বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইন তৈরির সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। সেই আইনের খসড়াও আমরা তৈরি করে দিয়েছি।

কামাল আহমেদ বলেন, গণমাধ্যমে কালো টাকা ঢুকে গেছে। রাজনৈতিক পরিচয় ও অন্ধকারে রেখেই গণমাধ্যমের মালিকানা দেওয়া হয়েছে। সব কয়টি টেলিভিশনের আবেদনে দেখা গেছে জনস্বার্থ কোনোটিতেই ছিল না৷ সবই রাজনৈতিক পরিচয়ে দেওয়া হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ এই সাংবাদিক বলেন, এক প্রতিষ্ঠান একটি মাত্র গণমাধ্যমের মালিক হতে পারবেন এমন প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। ওয়ান হাউস ওয়ান মিডিয়ার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারকে স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। দুটি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা তৈরি করতে হবে। এই সংস্থাকে স্বায়ত্তশাসনের মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে।

সাংবাদিকদের বেতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা দিতে হবে। এটি না দেওয়ার ফলে অনেকে অনৈতিক কাজে জড়াচ্ছে। তবে বেতন-ভাতার ওয়েজবোর্ডে আমাদের এখতিয়ার না থাকলেও আর্থিক নিরাপত্তার কথা বলা হয়েছে। ন্যূনতম নবম গ্রেড অনুযায়ী একজন সাংবাদিকের বেতন হতে হবে। পাশাপাশি রাজধানীতে কর্মরত সাংবাদিকদের ঢাকা ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

গত বছরের ১৮ নভেম্বর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন’ গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনের প্রতিবেদন দেওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত।

কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, দ্য ফিন্যানসিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের প্রতিনিধি শামসুল হক জাহিদ, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন ওনার্স (অ্যাটকো) প্রতিনিধি, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সচিব আখতার হোসেন খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক সাংবাদিক জিমি আমির, ডেইলি স্টারের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর টিটু দত্ত গুপ্ত এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top