বুধবার, ২৬শে মার্চ ২০২৫, ১১ই চৈত্র ১৪৩১


৪ স্তরে নেওয়া হবে মতামত

ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে কাজ চলছে: ফয়েজ আহমদ


প্রকাশিত:
২৪ মার্চ ২০২৫ ১৫:১৩

আপডেট:
২৬ মার্চ ২০২৫ ০৩:২৭

ছবি সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে আরও কিছুদিন কাজ চলবে। তারপর চারটি স্তরে জনসাধারণের মতামত নেওয়া হবে।

সম্প্রতি ডাক ভবনে তার অফিস কক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন।

বিশেষ সহকারী বলেন, প্রথমত আমরা ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলব। এরপর স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধি মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যম কর্মী এবং সর্বশেষ আন্ত মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ ও মতামত গ্রহণ করা হবে। আইসিটি এবং সাইবার সম্পদগুলোর মানোন্নয়ন আমাদের লক্ষ্য। পাশাপাশি আমরা শুধু সরকারি সংস্থার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সরকারি কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। এর পাশাপাশি আমরা সিআইআই (ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার) এর ওপর ফোকাস করছি। আমরা কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির দিকে গুরুত্বারোপ করছি। এক্ষেত্রে ইইউ এবং ই-গভর্নেন্স টিমের কাছ থেকে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব প্রত্যাশা করছি। প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের জন্যও তিনি ইইউ রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান আছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী এবং সংস্কার করতে পাবলিক প্রাইভেট অথবা জি২জি পদ্ধতির বিনিয়োগ চাই। আমরা বিনিয়োগের নতুন পথ খুলতে চাই। আমরা ডিজিটাল রূপান্তরের মাস্টার প্ল্যান এবং আইসিটি রোডম্যাপের খসড়া সংস্করণ প্রস্তুত করেছি এবং অনুরূপ রোডম্যাপ প্রতিটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য জাতির কাছে উপস্থাপন করা হবে। আমরা ১০টি স্তম্ভকে লক্ষ্য ধরে এগোচ্ছি, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি সেবাগুলোর ডিজিটালাইজেশন, বিকেন্দ্রীকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ডেটা এক্সচেঞ্জ এবং ডেটা গভর্নেন্স সম্পর্কে আমাদের খুব বড় দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, আমরা ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্টে গুরুত্ব দিচ্ছি। এর বাইরে সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ এবং ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন নিয়েও কাজ চলছে বলেও তিনি জানান।

এসময় রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার নীতিকাঠামো, ইইউর বিনিয়োগ, প্রকল্পে অর্থায়নসহ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানোর বিষয়ে কথা বলেন। ইইউ বাংলাদেশের অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য উন্নয়ন অংশীদার, তাই বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে উল্লেখ করার মিলার।

আলোচনার সময় রাষ্ট্রদূত মিলার ডিজিটাল রূপান্তরের কৌশল সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশেষ সহকারী বলেন, ডিজিটাল রূপান্তরের কৌশলের মাস্টার প্ল্যানের ক্ষেত্রেও স্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নেওয়া হবে। আশা করছি এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে এটি একটি রূপ পাবে।

পরে রাষ্ট্রদূত মিলার ব্রাসেলসে আসন্ন গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীকে আমন্ত্রণ জানান।

এসময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীসহ দপ্তর সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top