বসল ২৮ তম স্প্যান, পদ্মা সেতুর ৪২০০ মিটার দৃশ্যমান
প্রকাশিত:
১১ এপ্রিল ২০২০ ১৭:২৪
আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ১৮:৪৮
করোনার কারনে সারাদেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন। আর এ পরিস্থিতির মধ্যেই আজ পদ্মা সেতুর ২১ ও ২০ নম্বর পিলারে বসানো হলো ২৮তম স্প্যান। এর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ৪ হাজার ২০০ মিটার দৃশ্যমান হলো। শনিবার (১১ এপ্রিল) সেতুর ২০ ও ২১ নম্বর পিলারে ‘৪-বি’ স্প্যানটি বসানো হয়। পিলার দুইটির অবস্থান মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এবং অপরটি মাদারীপুরের শিবচরের প্রশাসনিক এলাকায়।
সকাল ৮টায় শুরু হয় স্প্যান বসানোর কার্যক্রম। সকল কারিগরি কাজ শেষে সকাল ৯টায় স্প্যানটি পিলারে বসানো সম্পন্ন হয়। ২৭তম স্প্যান বসানোর ঠিক ১৪ দিনের মাথায় বসলো ২৮তম স্প্যানটি। এর আগে শুক্রবার সকাল ৮টায় দিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে ‘তিয়ান-ই’ ভাসমান ক্রেনে করে নিয়ে রাখা হয় সেতুর মাঝের ১৮ ও ১৯ নম্বর পিলারের কাছে।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর ৪২টি পিলারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এসব পিলারে ৪১টি স্প্যানের মধ্যে বসানো বাকি আছে ১৪টি স্প্যান। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ২৯ নম্বর স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
জানা গেছে, মূল সেতু নির্মাণে যেখানে সাড়ে চার হাজার কর্মী নিয়োজিত সেখানে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে প্রায় ৭০ ভাগ কর্মী কাজে আসতে পারছে না। তবে, সেতুর কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে এখনও কাজ করছে প্রায় দেড় হাজার কর্মী। একটি স্প্যান বসানোর কাজে প্রায় দেড়শ’ কর্মীর প্রয়োজন হয় এবং তাদের বেশিরভাগ টেকনিশিয়ান, সাধারণ শ্রমিক নয়।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন।
সম্পর্কিত বিষয়:
পদ্মাসেতু
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: