ব্রিটিশ মন্ত্রী
বাংলাদেশের রাজনৈতিক রূপান্তরে যুক্তরাজ্যের সমর্থন থাকবে
প্রকাশিত:
৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:০৭
আপডেট:
৭ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৪৭

অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক রূপান্তরের প্রতি যুক্তরাজ্য সরকারের চলমান সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক মন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট।
লন্ডনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য সরকারের এ সমর্থনের কথা জানান ক্যাথরিন ওয়েস্ট। লন্ডনের স্থানীয় সময় শনিবার (৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন এ তথ্য জানায়।
বাংলাদেশের ৫৫তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনের আয়োজনে কেনসিংটনে অবস্থিত কপথ্রন তারা হোটেলে যথাযোগ্য মর্যাদায় এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক মন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট। অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে ছিলেন আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থার (আইওএম) মহাসচিব আর্সেনিও ডমিনগেজ, কমনওয়েলথের মহাসচিব শার্লি আইয়র্কর বটচওয়ে, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য এবং হাউজিং, কমিউনিটি ও স্থানীয় সরকার বিষয়ক পার্লামেন্টারি আন্ডার-সেক্রেটারি রুশনারা আলী।
হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম তার বক্তব্যে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি একই সঙ্গে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের প্রতিও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। হাইকমিশনার বাংলাদেশে সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, শান্তি প্রতিষ্ঠায় অব্যাহত প্রচেষ্টা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে চলমান রাজনৈতিক রূপান্তরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
হাইকমিশনার বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য অংশীদারিত্বকে বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, সংস্কৃতি এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে ১.২ মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীর নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি ক্যাথরিন ওয়েস্ট তার বক্তব্যে সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের তরুণদের কর্মসংস্থান, উদ্যোক্তাবৃত্তি, জলবায়ু সহনশীলতা এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে যৌথভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক রূপান্তরের প্রতি যুক্তরাজ্য সরকারের চলমান সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং মানবিক চাহিদা ও টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে উভয় দেশের জন্য একটি সমৃদ্ধ ও টেকসই ভবিষ্যতের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: