‘ফ্যাসিবাদী শক্তির ষড়যন্ত্রে আনন্দ শোভাযাত্রা থেমে থাকবে না’
প্রকাশিত:
১২ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৪১
আপডেট:
১৩ এপ্রিল ২০২৫ ০০:২৪

ফ্যাসিবাদী শক্তির যতই ষড়যন্ত্র হোক, নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা থেমে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর এবং চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভাগের শিক্ষক মো. ইসরাফিল প্রাং।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সহকারী প্রক্টর বলেন, ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী এই আনন্দ শোভাযাত্রা নস্যাৎ করতে পরিকল্পনা করে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই এই শোভাযাত্রা হবেই।
এর আগে শনিবার ভোর ৪টার দিকে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা মূল মোটিফ ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’তে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে মোটিফটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। একই সঙ্গে পায়রার মোটিফও পুড়ে যায়। তবে কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে তা জানা যায়নি।
কেন নিরাপত্তা নিয়ে আগাম জোরালো প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি সে ব্যাপারে ইসরাফিল প্রাং বলেন, ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে যে আগুন দেওয়া ঘটেছে সেটা কাপুরুষোচিত আচরণ। সুযোগ বুঝে দুষ্কৃতিকারীরা মুখাকৃতিতে আগুন দিয়েছে। সকালেই জিডি করা হয়েছে, দুপুরে মামলা করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে একটি মুখোশধারী একজনকে আগুন দিতে দেখা গেছে। পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করি দুষ্কৃতিকারীদের চিহ্নিতপূর্বক অতিদ্রুত শাস্তির আওতায় আনা যাবে।
এদিকে, ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি পোড়ানোর ঘটনাকে ‘পরিকল্পনা নাশকতা’ উল্লেখ করে চারুকলার শিক্ষকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ ফাইজ তাইয়েব আহমেদ।
তিনি বলেন, ফাইজ তাইয়েব আহমেদ বলেন, চারুকলায় পরিকল্পিত নাশকতার আগুনে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে আমি সন্দেহ করি। এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চারুকলায় ফ্যাসিবাদের ডিপ রুটেড অ্যাসোসিয়েশন এখনো থেকে গেছে। এজন্য চারুকলার শিক্ষকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রয়োজন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এ বছর বাংলা নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রায় জন্য বাঁশ-বেতের কারুকাজে তৈরি করা হয়েছিল এক দৈত্যাকৃতির ‘ফ্যাসিবাদী প্রতিকৃতি’, যার উচ্চতা ছিল প্রায় ২০ ফুট। যেখানে সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি মুখাবয়বের দুপাশে ছিল শিংয়ের মতো অবয়ব। প্রতিকৃতিতে ইতোমধ্যেই প্রলেপের কাজ শেষ হয়েছিল। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছিলেন, এটিই ছিল এবারের শোভাযাত্রার প্রধান মোটিফ বা অবকাঠামো।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: