বুধবার, ১৬ই এপ্রিল ২০২৫, ৩রা বৈশাখ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


নির্বাচন প্রস্তুতিতে আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না: ইসি সচিব


প্রকাশিত:
১৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:০১

আপডেট:
১৬ এপ্রিল ২০২৫ ০৬:১৩

ছবি সংগৃহীত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে নাগাদ হতে পারে সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। তবে নির্বাচন কমিশন সবধরনের প্রাক প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে। ব্যালট পেপার ছাপাসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিতে যেন পিছিয়ে না থাকে এজন্য নির্বাচন কমিশন এই কাজগুলো দ্রুততার সঙ্গে করছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে ইসি কর্মকর্তার পাশাপাশি বিজি প্রেসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন প্রস্তুতি যেন পিছিয়ে না থাকে সেজন্যে কাজগুলো গুছিয়ে রাখা হচ্ছে। মূলত পেপার প্রকিউরমেন্ট থেকে প্রিন্টিং পর্যন্ত সময়সীমা কতটুকু লাগে; উনারা বলেছেন যে, তিন মাস থেকে চার মাস সময় লাগে। যেভাবে ব্যাকওয়ার্ড ক্যালকুলেশন হবে সেভাবে (এগোবে)। নির্বাচনের তারিখ বা নির্বাচনের সিডিউল সম্পর্কে যে সিদ্ধান্তটা হবে; তখন যেন আমাদের ব্যাকওয়ার্ড ক্যালকুলেশনটা থাকে।

আজকের বৈঠক প্রসঙ্গে সচিব বলেন, আসন্ন নির্বাচনে কাগজ কী পরিমাণ লাগে সে সম্পর্কে ধারণা নেওয়া, এ সংক্রান্ত বাজেটের সংস্থানের ব্যাপার এবং আগের নির্বাচনের কিছু কাগজপত্র বিজি প্রেসে রয়েছে সেগুলোর গুণগত মান নষ্ট হয়ে থাকলে ডিসপোজালের ব্যবস্থা করা নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে।

আখতার আহমেদ বলেন, আমরা একটি কমিটি করে দিয়েছি। তারা যাচাই-বাছাই করবে, যে কাগজগুলো নষ্ট হয়েছে গিয়েছে সেগুলোর প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ডিসপোজাল করা হবে। কাগজের পরিমাণ কতটুকু ও কতদিন টাইম লাগতে পারে সে বিষয়ে নিজেদের প্রস্তুতি রাখার জন্যে এ আলোচনা করা হয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, সংসদ নির্বাচনে ২১ প্রকার ফরম, ১৭ প্রকার প্যাকেট, ৫ প্রকার পরিচয়পত্র, আচরণবিধি, প্রতীকের পোস্টার, নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়েল, নির্দেশিকাসহ অনেক কিছু মুদ্রণ করতে হয়। সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব মুদ্রণ করে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরা হয় সভায়। তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়নপত্র এবং প্রতীক বরাদ্দ হলে প্রার্থীর নাম, প্রতীক নিয়ে ব্যালট পেপার মুদ্রণ রয়েছে। যেগুলো মাঠ পযায়ে পাঠাতে হয়।

সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় এক লাখ ৬১ হাজার রিম কাজ কেনা হয়েছিল। সেবার ৩৩ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছিল। এবার অন্তত এক লাখ ৭০ হাজার রিম কেনার প্রয়োজন হতে পারে। শুধু কাজ কেনায় ৩৬ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top