ধর্ষণ মামলার ন্যায়বিচার ও পরিবারের নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে
প্রকাশিত:
২৬ এপ্রিল ২০২৫ ১০:২৩
আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৫৬

ধর্ষণ মামলার ন্যায়বিচার, প্রশাসনিক অসহযোগিতা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের হুমকি ও হয়রানীর প্রেক্ষিতে পরিবারের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মোছা. শামীমা সুলতানা।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান।
মোছা. শামীমা সুলতানা তার লিখত বক্তব্যে বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমি ধর্ষণের শিকার হয়েছি। এই ঘটনার পর আমি ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় স্থানীয় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করতে যাই। আসামিরা আমার সহিত আপস মীমাংসা করবে বলে থানায় হাজির হয়ে আমার কাছ থেকে একটি আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ার আবেদন পত্রে স্বাক্ষর গ্রহণ করে ও নিজেরাও স্বাক্ষর করে।’
তিনি জানান, ‘সেই পত্রের সাপেক্ষে আসামিরা জসিমউদ্দিন হাওলাদারের নেতৃত্বে আমাকে জাহিদুল ইসলামের বাড়িতে মীমাংসার কথা বলে নিয়ে যায়। ব্যাপারটি পুলিশ কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন বিধায় আমি সরল বিশ্বাসে জাহিদুল ইসলামের বাড়িতে যাই। কিন্তু জাহিদুল ইসলামের বাড়িতে যাওয়ার পর জসিমউদ্দিন হাওলাদারের হুকুমে সেসহ অন্য আসামিরা আমার উপর জোর খাটিয়েছে এবং এলোপাতাড়ি মারধর করেছে। পাশাপাশি একটি স্ট্যাম্পে জোর করে আমার স্বাক্ষর নিয়েছে, স্ট্যাম্পে তারা কি লিখেছে তা আমার আদৌ জানা নেই এবং আমি যদি উক্ত বিষয়ে কাউকে বলি তাহলে আমাকে ও আমার সন্তানদের স্কুল হতে তুলে নিয়ে গিয়ে গুম করবে বলে হুমকি দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি আসামিদের এহেন আচারণের কারণে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করতে যাই, কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ আমার মামলাটি আমলে গ্রহণ করেন না, সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমি পটুয়াখালী নারী ও শিশু কোর্টে একটি মামলা দায়ের করি, যার পিটিশন নং-২০৭/২০২৫। এরপর কোর্ট মারফত পুলিশ মামলা গ্রহণ করেছে, যা সদর থানা পটুয়াখালী মামলা নং-৬১, তারিখ : ২৯-০৩-২০২৫ইং। এখন আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।’
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: