বৃহঃস্পতিবার, ১৩ই মার্চ ২০২৫, ২৯শে ফাল্গুন ১৪৩১


ট্রেনিং না থাকলেও করোনা মোকাবিলায় সবার থেকে এগিয়ে পুলিশ: আইজিপি


প্রকাশিত:
১৫ এপ্রিল ২০২০ ০০:৪৯

আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ১৯:৩১

সাংবাদিকদের সঙ্গে অনলাইনে মতবিনিময়ে সদ্য বিদায়ী আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী

সাংবাদিকদের সঙ্গে অনলাইনে মতবিনিময়ে সদ্য বিদায়ী আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী

করোনা নিয়ে পুলিশ বাহিনীর কোনো ট্রেনিং না থাকলেও সাহসিকতার সঙ্গে করোনা চ্যালেঞ্জ পুলিশ মোকাবিলা করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য বিদায়ী আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

বিদায়ের প্রাক্কালে মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সঙ্গে অনলাইনে মতবিনিময়ের সময় একথা বলেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় প্রথম থেকেই মাঠে ছিল পুলিশ। যারা বিদেশ থেকে ফিরেছে তাদের ঘরে রাখতে, খোঁজখবর নিতে কাজ করেছে পুলিশ। এমনকি সারা বাংলাদেশে হাটে, মাঠে, ঘাটে, মসজিদে-মন্দিরে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। করোনার বিস্তার রোধের একটি উপায় ঘরে থাকা। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই, আপনারা ঘরে থাকুন, আমরা আপনাদের জন্য মাঠে-রাস্তায় রয়েছি।

ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ প্রথম অস্ত্র হাতে যুদ্ধে নেমেছিল। এবার ২০২০ সালে নতুন আরেক যুদ্ধে নেমেছে পুলিশ। এই যুদ্ধের কোনো ট্রেনিং না থাকলেও আমরা মাঠে আছি, লড়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, জনগণের ফোন পেয়ে পুলিশ এখন দ্বারে দ্বারে গিয়ে খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছে। অনেকে মারা যাচ্ছেন, তাদের স্বজনরা ভয়ে মরদেহের কাছে যাচ্ছে না, পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে ওইসব মরদেহ দাফন করছে। এছাড়াও অনেক এলাকা, অনেক সড়ক লকডাউন হয়েছে। করোনার ঝুঁকিতে সে সব এলাকায় কাউকে কাউকে চলাফেরা করতে দেওয়া হয় না, অথচ সেখানেও রাস্তায় দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ।

দুই বছরের বেশি সময়ে দায়িত্বপালন করা আইজিপি বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়েই পুলিশকে জনবান্ধব করার চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয় আমরা অনেকটা সফল হয়েছি। কারণ এই সংকটপূর্ণ মুহূর্তে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পুলিশ কীভাবে মানবিক কাজগুলো করছে।

বিদায়ী আইজিপি বলেন, আমার টার্গেট ছিল থানাগুলো যেন মানুষের আস্থার জায়গা হয়। থানার ওসি যেন জনগণের ওসি হন। এখন অনেক থানায় ইতোমধ্যে ‘জনতার ওসি’, ‘আমাকে স্যার ডাকবেন না’, ইত্যাদি ব্যানার দেখা যায়। ওসিরা নিজ উদ্যোগে ‘হ্যালো ওসি’র মতো অ্যাপ খুলেছে, থানায় হেল্প ডেস্ক খুলেছে। আমার দায়িত্ব পালনকালে আমি প্রথমবারের মতো ৭০০ থানার ওসিকে পর্যায়ক্রমে পুলিশ সদর দফতরে ডেকে এনেছি। তাদেরকে জনগণের সেবা দেয়ার জন্য মোটিভেট করেছি। তারা আমাকে বলেছে, আগে কেউ এভাবে তাদের মোটিভেট করেনি। তারা যখন স্ব স্ব থানায় ফিরে গেছেন তাদের মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে। রেঞ্জের ডিআইজি, এসপিরা আমাকে জানিয়েছেন যে ওসিদের মধ্যে পরিবর্তন এসেছে।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : shomoynews2012@gmail.com; shomoynews@yahoo.com
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top