নতুন মৃত্যু ৯ এবং আক্রান্ত ৩০৬
দেশে করোনায় মৃত বেড়ে ৮৪ ও আক্রান্ত ২ হাজার ছাড়াল
প্রকাশিত:
১৮ এপ্রিল ২০২০ ২১:২৯
আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২০ ০০:৪৬

দেশে নতুন করে ৩০৬ জনের দেহে নভেল করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ এর সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। এতে দেশে এই ভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়াল। এদিকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮৪ জনের।
আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান।
ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত ও ৯ জন মারা গেছেন হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৪৪ জনে। মৃত ৯ জনের মধ্যে ৬ জন ঢাকার, ২ জন নারায়ণগঞ্জের এবং একজন সাভারের।
ডা. ফ্লোরা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ২৪৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নতুন করে যুক্ত হওয়া যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১৯টি ল্যাবরেটরিতে মোট দুই হাজার ১৯০টি নমুনার পরীক্ষা হয়। এতে আরও ৩০৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে দুই হাজার ১৪৪। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও নয়জন। এতে মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৮৪। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও আটজন। ফলে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬ জনে।
ডা. সেব্রিনা বলেন, পরপর দু’টি পরীক্ষায় সংক্রমণ নেই এমন চিহ্নিত ব্যক্তির সংখ্যা ৮। এ নিয়ে সর্বমোট ৬৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। ২ হাজার ১৪৪ জন শনাক্ত রোগীদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫৬৪ জন। বাকিরা হোম আইসোলেশনে আছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১ জন আছেন আইসিইউতে। বাকি সবার অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল।
বুলেটিনে আরও ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, জেলা ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ঢাকা শহরে, যা শতকরা ৩২ ভাগ। এরপর আছে গাজীপুর। গাজীপুরে নতন শনাক্ত হয়েছে। এর আগে যারা শনাক্ত হয়েছিলেন তারা বেশিরভাগই নারায়ণগঞ্জ থেকে গেছেন। গাজীপুরের পরই নতুন সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ। গত তিনদিন আমরা যেসব রোগীর কথা বলছি সেটা আমাদের পরীক্ষার প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, এখানে একদিনের তথ্য পেন্ডিং ছিল। ১৬ তারিখের আক্রান্তদের তথ্যের সঙ্গে কিছু আক্রান্তের তথ্য ছিল ১৫ তারিখের। সেটাকে আমরা নতুন তারিখ অনুযায়ী বিভাজন করেছি। নতুন বিভাজন করার পর আমরা এটাকে সংশোধন করেছি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: