দেশে করোনায় নতুন আক্রান্ত ৪৯২, মৃত্যু ১০০ ছাড়াল
প্রকাশিত:
২০ এপ্রিল ২০২০ ২১:৩০
আপডেট:
২১ এপ্রিল ২০২০ ০০:৫৪

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৪৯২ জন। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনায় মোট ১০১ জনের মৃত্যু ও ২ হাজার ৯৪৮ জন আক্রান্ত হলেন। নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ১০ জন। এ নিয়ে মোট ৮৫ জন করোনা রোগী সুস্থ হলেন।
সোমবার অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ২৭৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪৯২ জন। এছাড়া নতুন করে যে ১০ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ এবং দুজন নারী। গতকালের চেয়ে করোনায় পরীক্ষা হয়েছে ৫.৫ শতাংশ বেশি। সারাদেশে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন প্রায় দেড় লাখ মানুষ।
নতুন করে মৃত ১০ জনের মধ্যে পুরুষ আটজন এবং নারী দুজন। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ ১০ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব চারজন এবং চল্লিশোর্ধ্ব দুজন। তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় মারা গেছেন পাঁচজন, নারায়ণগঞ্জে চারজন এবং নরসিংদীতে একজন মারা গেছেন। নতুন আক্রান্ত ৪৯২ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ রোগী গাজীপুরের।কিশোরগঞ্জের ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং নরসিংদীর রোগী ৬ শতাংশ। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে আগের মতোই বেশি আছে রোগী।
বুলেটিনে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল্লাহ পিপিইসহ চিকিৎসা সামগ্রী গ্রহণ এবং তা চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে বিতরণের তথ্য তুলে ধরেন। বুলেটিন উপস্থাপনকালে করোনার বিস্তাররোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে সোমবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লাখ ৬ হাজার ৯১০ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯ জন মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়ার্ল্ডওমিটারে এ সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৬ লাখ ১৭ হাজার ২৩ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১৬ লাখ ২৪ হাজার ৮২৮ জন। এদের মধ্যে ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৬১০ জনের জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও এবং ৫৪ হাজার ২১৮ জনের অবস্থা গুরুতর।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রথম করোনা শ্নাক্ত করা হয়, ৮ই মার্চ, প্রথম মৃত্যু ১৮ মার্চ। তার কিছুদিন পর ২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: