চীনের মতো বন্ধু পাওয়া সৌভাগ্য : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিত:
২২ আগস্ট ২০২১ ১৬:০৮
আপডেট:
২২ আগস্ট ২০২১ ২৩:১৭

করোনাভাইরাস মহামারিতে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরো গভীর হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সম্প্রতি চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন।
সাক্ষাৎকারে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, করোনাভাইরাসের উৎস ও কারণগুলো খুঁজে বের করার দায়িত্ব বিজ্ঞানীদের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত।
বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় কর্মকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ ভাগ্যবান, কারণ তারা চীনের মতো বন্ধু পেয়েছে। মহামারির শুরু থেকেই চীন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে আসছে। এ সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। করোনা মহামারির শুরুর দিকে চীন যখন কঠিন অবস্থায় পড়েছিল, তখন বাংলাদেশ চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়েছিল। পরে বাংলাদেশ যখন সমস্যায় পড়ে তখন চীন সরকারের পাশাপাশি দেশটির বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছে।
কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারেও ভূমিকা রাখছেন শান্তিরক্ষীরা: বিভিন্ন দেশে মোতায়েন বাংলাদেশি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের মাতৃভূমির সঙ্গে ওই দেশগুলোর কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে অবদান রাখছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। গত শুক্রবার দক্ষিণ সুদানের উয়াউ প্রদেশে মোতায়েন বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট (বিএনবিএটিটি ৪) পরিদর্শনকালে এ কথা জানান তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। শান্তিরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে সম্পৃক্তদেরও তিনি প্রশংসা করেন।
এ সময় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান, তাঁরা উয়াউ প্রদেশের স্থানীয় জনগণের সহায়তার জন্য চিকিৎসাসেবা এবং পশু চিকিৎসার মতো সামাজিক উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কাজ করেছেন। সফরকালে উয়াউর স্থানীয় সরকার ও প্রাদেশিক মন্ত্রীরা প্রদেশের ইউএনএমআইএসএস কম্পাউন্ডে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। দক্ষিণ সুদান সরকার রাজধানী জুবায় বাংলাদেশের নামে একটি সড়কের নামকরণ করেছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
করোনাভাইরাস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: