শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১


অভিবাদন, হে স্বাধীন বাংলাদেশের মহানায়ক


প্রকাশিত:
১৭ মার্চ ২০২০ ১৬:৪৬

আপডেট:
১৮ মার্চ ২০২০ ১৬:৪৪

ফাইল ছবি

অভিবাদন হে মুজিব। অভিবাদন হে স্বাধীন বাংলাদেশের মহানায়ক। তব দুয়ারে মস্তক ঠুকিয়ে মরি, মুজিব আমাদের ভাই। মুজিবের মরণ নাই। তুমি এসেছিলে শুদ্ধতা ভরিয়ে, যেথায় মুক্তি ছিল মুগ্ধতা ছড়িয়ে। মুজিব মানে বিস্ময়। মুজিব মানে চিরঞ্জয়। বাঙালির এক অমোঘ বিশ্বাসের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঘোর সংকটে বেলা যখন অস্ত, তোমার পরশেই তা ফের উদীত। তুমি মুক্ত। তুমিই মুক্তি। তোমার চরণে ঠেকাই ভক্তি।

আজ ১৭ মার্চ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী। হাজার বছরের বিদ্রোহী আগুনের সন্নিবেশ ঘটিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় জন্মেছিলেন খোকা নামের সেই ছেলেটি। যার জন্ম দিবসে ধরণীতে সূর্য ছড়িয়েছিল মুক্তির আভা। যার জন্ম মানেই শোষিতের জয়গান আর শোষকের প্রস্থান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাবা শেখ লুৎফর রহমান, মা সায়রা খাতুন। ছয় ভাই-বোনের তৃতীয় ছিলেন তিনি। ছাত্র জীবনেই শেখ মুজিব শোষিত বঞ্চিত বাঙালির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। ধীরে ধীরে ছাত্রনেতা থেকে তিনি পরিণত হন প্রাদেশিক নেতায়।

বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন, ৬৬'র ছয় দফা, ৬৯ এর গণঅভ্যূত্থান, ৭০ এর নির্বাচন এবং ৭১ এর অসহযোগ আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে মুজিব পরিণত হন জাতীয় নেতায়।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি ৪ হাজার ৬৮২ দিনই কারারুদ্ধ ছিলেন। ঊণসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কারামুক্ত হওয়ার পর ২৩শে ফেব্রুয়ারি তাঁকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেয়া হয়। একাত্তরের ৭ই মার্চ বাঙালিকে স্বাধীনতার ডাক দেয়া তার সেই ভাষণটি এখন বিশ্বের অন্যতম ভাষণ হিসেবে স্বীকৃত।

নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে হওয়া স্বাধীন বাংলাদেশ এই এক নেতার পরিচয়ে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাড়াবার চেষ্টা করে যায়। যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলা ছিল বঙ্গবন্ধুর আরেক সংগ্রাম। তার সুদৃঢ় নেতৃত্ব বাঙ্গালী জাতিকে দেয় নতুনভাবে এগিয়ে যাবার প্রেরণা।

পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট ভোরে সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য ধানমণ্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

সরকার ১৭ মার্চ থেকে পরবর্তী এক বছরকে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন গত ১০ জানুয়ারি থেকেই জন্মশতবর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয় । নেওয়াও হয় ব্যাপক আয়োজন। আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য বর্ণাঢ্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। তেজগাঁওয়ের জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে উপস্থিত থাকার কথা ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দেশি-বিদেশি বরেণ্য ব্যক্তিদের। কিন্তু এ অনুষ্ঠানটি হচ্ছে না। জনতার নেতার জন্মদিনের এই উপলক্ষটা জনতার ঢল দিয়েই আয়োজন করার কথা ছিল। কিন্তু সারা বিশ্বে মরণঘাতী করোনাভাইরাসের আতঙ্ক সেই উদযাপন হচ্ছে না। বেশির ভাগ কর্মসূচি টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রচার করা হবে।

এদিকে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top