বয়স ১২ পেরোলেই নিবন্ধন ছাড়া টিকা
প্রকাশিত:
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৩:০৫
আপডেট:
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৩:৩৫

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আফ্রিকার দেশগুলোতে যেখানে মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছে, সেখানে আমাদের টার্গেটেড জনগোষ্ঠীর ৮৫ শতাংশই টিকার আওতায় চলে এসেছে।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১৭ কোটি ডোজ টিকা আমরা দিতে পেরেছি। টিকার জন্য আমাদের টার্গেটেড জনগোষ্ঠী ১১ কোটি ৫৫ লাখ, তাদের মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশকেই আমরা টিকার আওতায় আনতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আমাদের হাতে এখনও মজুদ আছে দশ কোটি টিকা। এরপরও বেশকিছু লোক এখনও টিকা নেয়নি। তাদের মধ্যে অনীহা আছে। আমি আহ্বান করব, এখনও যারা টিকা নেননি, তারা দ্রুত টিকা নিয়ে নিন।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনার সময়ে আমাদের চিকিৎসক-নার্সরা দিনরাত পরিশ্রম করেছেন, এখনও করে যাচ্ছেন। চিকিৎসক-নার্সসহ অনেক স্বাস্থ্যকর্মীকে আমরা হারিয়েছি। শুধু তারা নিজেরাই নয়, তাদের পরিবারের সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছেন, প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই, আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। তারা এ ক্রান্তিলগ্নে যেভাবে সেবা দিয়েছেন, তাদের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সবসময় শ্রদ্ধা থাকবে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতকে ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সব কাজ এগিয়ে চলছে। শিগগিরই অনুমোদনও হয়ে যাবে। আমরা প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ১০টি করে ডায়ালাইসিস, ১০টি করে আইসিইউ যোগ করছি। সবমিলিয়ে জেলা হাসপাতালগুলোতে নতুন করে সাড়ে ছয়শ করে আইসিইউ ও সাড়ে ছয়শ করে ডায়ালাইসিস চালু হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, করোনাকালেই আমরা ৪০ হাজার লোক নিয়োগ দিয়েছি। মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলো আমরা সার্বক্ষণিকভাবে চালু রেখেছি। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ হলেও মেডিকেল কলেজগুলোতে আমরা বন্ধ করিনি। করোনা চিকিৎসায় এক মাসে এক হাজার বেডের হাসপাতাল তৈরি করেছি, যেখানে ২৫০টি আইসিইউ।
তিনি বলেন, আজ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও বেশ কয়েকটি নতুন সেবা আমরা উদ্বোধন করতে পেরেছি। অনেক চিকিৎসা দিয়েছে এ হাসপাতাল। ১ হাজার ৩৫০ বেডের এ হাসপাতালে দেড়শ করোনার শয্যা আছে। এখানে করোনার চিকিৎসাও হচ্ছে, পাশাপাশি নন-করোনা রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমানসহ আরও অনেকে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: