কোন আইনে আছে টিপ পরা যাবে না: সুবর্ণা মুস্তাফা
প্রকাশিত:
৪ এপ্রিল ২০২২ ০১:২১
আপডেট:
৩১ মার্চ ২০২৫ ১৪:২৭

টিপ পরা বা না পরা নারী সমাজের অধিকার, তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যের কটূক্তি বাংলাদেশের তথা সকল নারী সমাজের জন্য একটি লজ্জাজনক ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন সংরক্ষিত আসনের এমপি সুবর্ণা মুস্তাফা।
রোববার (৩ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
সংসদে সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ইভটিজিং আমরা শুনে এসেছি। বখাটে ছেলেরা স্কুলের বাচ্চাবাচ্চা মেয়েদের ইভটিজিং করে। সেই পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু আমি যখন দেশের আইনরক্ষাকারী কাউকে ইভটিজিংয়ের ভূমিকায় দেখি তখন সেটা আমাদের সবার জন্য অত্যন্ত লজ্জাকর।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে একজন নারী টিপ পরতে পারবে না। এখানে হিন্দু-মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এমনকি সে বিবাহিত না বিধবা সেটা বিষয় নয়। একটি মেয়ে টিপ পরেছে। তিনি একজন শিক্ষক। রিকশা থেকে নামার পর দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার ইভটিজ করেছে।
সুবর্ণা বলেন, প্রতিবাদী হলে তার সঙ্গে তুই তোকারি করা হয়েছে। অসম্মান করা হয়েছে। আমি সরকারি দলকে রিপ্রেজেন্ট করি, না বিরোধী দলকে রিপ্রেজেন্ট করি বিষয়টা এগুলোর ঊর্ধ্বে। প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেন, মানুষ আগে। মানুষের অধিকার আগে। জাতির পিতা বলেছেন, মানুষকে ভালোবাসতে হবে। মানুষের অধিকার আগে।
সংরক্ষিত নারী আসনের এই সদস্য বলেন, যে মন্ত্রণালয় এই বিষয়টি দেখা শোনা করে তারা যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দার শেরেবাংলা নগর থানায় শনিবার (২ এপ্রিল) একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তিনি অভিযোগ করেন, টিপ পরায় পুলিশের পোশাক পরা একজন তাকে হেনস্তা করেছেন।
ওই নারী প্রতিবাদ করলে এক পর্যায়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি। পেছনে ফিরে ঘটনার প্রতিবাদ করায় ফের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় শিক্ষক লতাকে। তাকে উদ্দেশ্য করে 'টিপ পরছস কেন' মন্তব্য করেন ওই ব্যক্তি।
এসএন/তাজা/২০২২
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: