জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত:
১১ এপ্রিল ২০২২ ০০:৪৬
আপডেট:
১১ এপ্রিল ২০২২ ০০:৪৯

পুলিশের কাছে গেলে ন্যায়বিচার পাবে-মানুষের এই আত্মবিশ্বাসটা সবসময় যেন থাকে সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। পুলিশ জনগণের সেবক হবে। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১০ এপ্রিল) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের উদ্যোগে ‘দেশের ৬৫৯টি থানায় নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের সেবায় স্থাপিত সার্ভিস ডেস্কের উদ্বোধন এবং গৃহহীনদের জন্য নির্মিত গৃহ হস্তান্তর’ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনো বাহিনী ও ব্যক্তির জীবনে সফলতা তখনই আসে, যখন তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসাটা অর্জন করতে পারবে। বাংলাদেশে পুলিশ যাতে মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারে, এটাই আমরা চাই।
তিনি বলেন, আমাদের নারী সমাজ, শিশু বা বয়স্করা, তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় হলে বলতে পারে না। নারীদের ব্যাপারে তো এটা আরও বেশি। তাদের পক্ষে অন্যায়ের প্রতিকার চাওয়ার সুযোগটা আপনারা করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা সমাজটাকে উন্নত করতে চাই। পিছিয়ে পড়া, অনগ্রসর, তৃণমূল পর্যায়ে পড়ে থাকে বা যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের অবাঞ্ছিত মনে করে, শত নির্যাতনের মুখেও প্রতিকার চাইতে পারে না, সেই মানুষগুলোর মধ্যে আস্থা-বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে চাই। নাগরিক অধিকার রয়েছে, সেটা নিশ্চিত করা এবং তাদের সহযোগিতা করতে চাই।
সেবাপ্রার্থীদের আইনগত সহায়তা করতে পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড পৌঁছে যাচ্ছে। কাজেই এখন যোগাযোগের সুযোগ অনেক বেশি। তাই যেকোনো জায়গায় বসে মানুষের দুঃখ, দুর্দশা জানা বা কোনো নির্যাতন করলে তার প্রতিকার করার সুযোগ আছে।
পুলিশের ৯৯৯ সেবার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, কোনো দুর্গত এলাকায় কেউ পথ হারিয়ে ফেললে, তাকেও পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে আসছে। করোনাকালে পুলিশের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন সরকার প্রধান।
তিনি আরোও বলেন, সুপ্রশিক্ষিত একটা বাহিনী, যে বাহিনী মানুষের পাশে থাকবে। মানুষের কল্যাণ ও কাজ করবে। সেটাই আমরা চাই। সেইভাবে আমরা গড়ে তুলব।
এসএন/তাজা/২০২২
সম্পর্কিত বিষয়:
প্রধানমন্ত্রী
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: