ঝড়ের কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় পাঁচ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ছয় জেলে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে পটুয়াখালীর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে এফবি নিশান নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে ১১ জেলে নিখোঁজ হন।
আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাঁচ জেলেকে জীবিত উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
স্থানীয় জেলেদের বরাত দিয়ে জানা যায়, ‘বরগুনার পাথরঘাটা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছ থেকে ভাসমান অবস্থায় তিন জেলেকে উদ্ধার করেছেন স্থানীয় জেলেরা। উদ্ধার জেলেদের বৃহস্পতিবার পাথরঘাটায় নিয়ে আসা হবে। পাশাপাশি সুন্দরবনের কচিখালী পয়েন্ট থেকে দুই জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে।’
ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছ থেকে উদ্ধারকৃত তিন জেলে হলেন- আবছার হোসেন (৪০), মো. সোহেল (২৪) ও মো. জাফর (৩০)। তারা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বাসিন্দা। তবে কচিখালী পয়েন্ট থেকে উদ্ধার দুই জেলের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাহাজমারার আমতলী ঘাট থেকে এক সপ্তাহ আগে এফবি নিশান ট্রলার নিয়ে ১৫ জেলে সাগরে মাছ ধরতে যান। নিম্নচাপের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় মঙ্গলবার ভোরে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে ট্রলারটি ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া ট্রলারের কাছাকাছি স্থানে মাছ শিকার করছিলেন এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি আবুল কালাম ও দুই জেলে আবছার হোসেন এবং সোহেল। এ সময় আবছার ও সোহেলকে ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি। একই এলাকা থেকে জাফরকে উদ্ধার করেন আল্লারদান ট্রলারের জেলেরা।
পটুয়াখালীর আলিপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি জানিয়েছেন, ‘ট্রলারডুবির দুই-তিন ঘণ্টা পর বঙ্গোপসাগরের কচিখালী পয়েন্ট থেকে দুই জেলেকে উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাদের মহিপুরে নিয়ে আসা হবে।
কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশনের কর্মকর্তারা অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। নিখোঁজ ছয় জেলের সন্ধানে অভিযান চলছে।