জম্মু-কাশ্মিরের প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে আবারও গৃহবন্দি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি । ৬২ বছর বয়সী এই নেতা দেশটির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মোহাম্মদ সাঈদের মেয়ে। মোহাম্মদ সাঈদ ২০১৬ সালে মারা যান। গতকাল করা টুইটে তিনি লিখেছেন- আজ নিহত কাশ্মীরি পণ্ডিত সুনীল কুমার ভাটের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাকে যেতে দেওয়া হয়নি।
মঙ্গলবার ( ১৬ আগস্ট) সোপিয়ানের ছোটপোরা এলাকায় গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় কাশ্মিরি পণ্ডিত সুনীল কুমার ভাটকে। জঙ্গি গোষ্ঠী আলবদর ওই হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য ওয়াল।
গৃহবন্দি করা হয়েছে এ তথ্য জানানোর পাশাপাশি মেহবুবা তার বাড়ির সামনে আধা সেনা মোতায়েনের ছবিও পোস্ট করেছেন। তার অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে কাশ্মিরি পণ্ডিতদের। তবে প্রশাসন এই ব্যাপারে কিছু জানায়নি।
মেহবুবা জানিয়েছেন, নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে প্রশাসন তাদের আটকে দিচ্ছে। কিন্তু নিজেরা প্রতিটি এলাকা চষে বেড়াচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বেদনা আড়াল করতে চায়। তাদের নির্মম নীতির কারণে যারা কাশ্মির ছেড়ে যায়নি তাদের টার্গেট কিলিং করা হচ্ছে। এইভাবে সরকার কাশ্মিরি পণ্ডিতদের শত্রু হিসেবে তুলে ধরছে। তাই আজ তাকে গৃহবন্দী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, তিন মাস আগেও একবার মেহবুবাকে আটকানো হয়। ১৩ মে বাদগাম যাওয়ার সময় প্রশাসন আটক করে তাকে। সেই সময় তিনি টার্গেট কিলিংয়ে নিহত কাশ্মিরি পণ্ডিত রাহুল ভাটের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। এর আগে, ২০১৯-এর ৫ আগস্ট কাশ্মিরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা প্রত্যাহারের সময় টানা কয়েক মাস তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, তার ছেলে ওমর এবং পিডিপি নেত্রী মেহবুবাকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।