মেহেরপুরের গাংনীতে পারিবারিক বিরোধের জেরে শাশুড়িকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাদশা মিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের করমদী মাঠপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম রঙ্গিলা খাতুন। তিনি করমদী মাঠপাড়ার শওকত আলীর স্ত্রী। অভিযুক্ত বাদশাও একই এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বেশকিছু দিন যাবৎ বাদশার স্ত্রী রিনি খাতুন ও তার মা রঙ্গিলা খাতুনের সঙ্গে বাদশা মিয়ার পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জেরে রঙ্গিলার নিজ বাড়িতে তাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেন বাদশা। এসময় বাধা দিতে গেলে বাদশা তার স্ত্রী রিনি খাতুনকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আহত করেন। রিনি খাতুন বর্তমানে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত রঙ্গিলা খাতুনের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, রিনি খাতুন ও বাদশার মধ্যে বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো। এ কারণে বিয়ের কিছুদিন পর বাদশা রিনি খাতুনকে তালাক দেন। এরপর গত ৬ মাস আগে রিনিকে ফের বিয়ে করে সংসার করছিলেন বাদশা।
নিহতের পরিবার জানায়, বাদশা কিছু দিন আগে জেল থেকে বের হয়েছেন। তার নামে মাদক বিক্রি ও সেবনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, ‘হত্যাকাণ্ডের পরপরই বাদশা পালিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’