দীর্ঘ একযুগ পর আগামীকাল বন্ধ হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলগুলো। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের জরুরী সভায় শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেষ দেয় প্রশাসন। এর মধ্য দিয়ে এক যুগের রেকর্ড ভাঙলো ঢাবির হলগুলো। সর্বশেষ ২০০৭ সালের ২১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সেনাবাহিনী ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনার পর হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর বেশ কয়েকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হলেও আবাসিক হলগুলো খোলা রাখা হতো।
সভার নির্দেশ অনুযায়ী, আগামীকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সকল আবাসিক হল/হোস্টেলের শিক্ষার্থীকে হল/হোস্টেল ত্যাগের জন্য বলা হয়। উল্লেখিত সময়ের পরে কেউ হলে অবস্থান করতে পারবে না। এই সময়ে হল/হোস্টেল প্রশাসনকে সার্বিক পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ ডেঙ্গু প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে।
সভায় নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা এবং জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিজ নিজ বাড়ী/বাসায় অবস্থান করার জন্য সভার পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
এছাড়াও সভায় চিকিৎসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার নবীকে আহ্বায়ক করে একটি ৫-সদস্য বিশিষ্ট ‘করোনা ভাইরাস রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি’গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন ফার্মেসী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, সহকারী প্রক্টর ড. মো. আব্দুল মুহিত এবং প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. সারওয়ার জাহান মুত্তাফী।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরী সভায় বিশ্ববিদালয়ের ক্লাশ ও পরীক্ষাসমূহ ২৮ মার্চ ২০২০ তারিখ পর্যন্ত স্থগিত করে প্রশাসন। এবার তা আরো ৩ দিন বৃদ্ধি করে আগামী ৩১ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত করা হয়েছে। এই ছুটিকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বহিরাগত কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও অবস্থান না করার জন্যও বলা হয়েছে।