২০২৩ সালে প্রায় ৫৫ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানির জন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) প্রস্তাব অনুমোদন করেছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রাহাত আনোয়ার সাংবাদিকদের জানান।
কমিটির বৈঠকে বিপিসির পক্ষ থেকে ২০২৩ সালের জন্য মোট ৫৪ লাখ ৬০ হাজার টন তেল আমদানির প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৬ লাখ টন অপরিশোধিত এবং ৩৮ লাখ ৬০ হাজার টন পরিশোধিত।
বৈঠক শেষে রাহাত আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, বিপিসি সৌদি আরামকো এবং আবুধাবির কোম্পানি এডনকের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ১৬ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব দেয়। এ প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সরকার টু সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে ২০২৩ সালের জন্য ৩৮ লাখ ৬০ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে আমদানির প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনার প্রভাব থেকে পুনরুদ্ধারের কারণে চাহিদা বৃদ্ধি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের দাম আগের তুলনায় বাড়তি। সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা কমলেও অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলারের কাছাকাছি। বাংলাদেশে গত আগস্ট মাসে জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়।
বিপিসির হিসাবে গত অর্থবছরে দেশে প্রায় ৬৭ লাখ টন জ্বালানি তেলের দরকার হয়। মোট চাহিদার মধ্যে দেশীয় উৎস থেকে প্রায় ৬ থেকে ৭ লাখ টনের চাহিদা মেটানো যায়। আর সরকারি পরিশোধন কোম্পানি ইস্টার্ন রিফাইনারিতে বছরে ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি পরিশোধন করার সক্ষমতা রয়েছে।