চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ার আশঙ্কায় বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউপির এ আর খান বাজার এলাকায় ৯৯৯-এ ফোন করে সাহায্য চাইলো চোর।
গ্রেফতার ইয়াছিন খান ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার বাসিন্দা হলেও বরিশাল নগরীর কালুশাহ সড়কের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ভোরে বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউপির এ আর খান বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেট্রোপলিটন বন্দর থানার ওসি আসাদুজ্জামান।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ধরা পরে গেলে স্থানীয়দের হাতে মারধরের শিকার হতে পারেন এই ভয় থেকে ওই ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে কল করে সহায়তা চান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যখন বন্ধ একটি দোকানের মধ্য থেকে তাকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে তখন স্বীকার করেন পেশায় তিনি চোর।’
ওসি আরো বলেন, ‘ভোরে জরুরি সেবা থেকে আমাদের কাছে তথ্য আসে চরকাউয়া ইউপির এ আর খান বাজার এলাকায় বিপদে পড়েছেন এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি জরুরি সেবার কনফারেন্সের মাধ্যমে থানার ডিউটি অফিসারের সাথেও কথা বলেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষে মোবাইল ফোনে কল করে জানা যায় সে ঝন্টু মিয়ার দোকানের মধ্যে।
দোকান থেকে বের হতে তার অসুবিধা কোথায় জানতে চাইলে পুলিশ সদস্যদের ইয়াছিন খান জানান, চুরির মালামাল গুছিয়ে ব্যাগ ভর্তি করতে তার বেশি সময় লেগেছে। সময় গড়িয়ে সকাল হয়ে গেছে। লোকজন দোকানের পাশে অবস্থান করছিল। এ অবস্থায় সেখান থেকে বের হলে মারধরের শিকার হতেন। এজন্য বুদ্ধি করে ৯৯৯ নম্বরে কল করেছেন।
দোকান মালিক ঝন্টু জানান, ‘পুলিশ আমার দোকানের কাছে আসলেও কিছুই অনুমান করতে পারিনি। পরে সেখান থেকে একজনকে বের করায় বুঝতে পারি চোর ধরেছে। পরে জানি ওই চোর ৯৯৯ নম্বরে কল করে সহায়তা চেয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দোকানের মালামাল খোয়া যায়নি কিছুই। তবে সবকিছু এলোমেলো করে রেখেছে। ভালো ভালো জিনিস ব্যাগে ভরেছিল। কিন্তু নিতে পারেনি।’
চরকাউয়া ইউপির চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম জানান, ‘ জানতে পেরেছি ৯৯৯ নম্বরে কল করে নিজেকে মারধরের হাত থেকে বাঁচিয়েছে এক চোর। এই ঘটনা এখন সবখানে আলোচনা হচ্ছে। যে শুনছে সেই অবাক হচ্ছে।’