করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিকে পুজি করে অধিক দামে পণ্য বিক্রির অপরাধে যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন আড়ত ও হিমাগারে ৫০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা ও পাঁচজনকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। শনিবার সকালে র্যাব-১০ এর সহায়তায় র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম অভিযান পরিচালনা করেন।
তিনি বলেন, অভিযানকালে দেখা গেছে ২০/৩৫ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫/৭০ টাকা এবং ১২/১৪ টাকার আলু বিক্রি হচ্ছে ২২/২৫ টাকা। ৩১টি পেঁয়াজ ও আলুর আড়ত এবং একটি মাছের হিমাগারসহ ৩২টি প্রতিষ্ঠানকে এ জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া পাঁচজনকে ৬ মাস থেকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
চাল কারসাজিদের জরিমানা
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের (ডিএনসিআরপি) সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, শনিবার মিরপুর ও শাহআলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাহিম রাইস এজেন্সি ও তাইয়্যেবা রাইস এজেন্সিতে ১২০০ টাকার চাল ২০০০ টাকায়, ২৩০০ টাকার চাল ২৭৫০ টাকা এবং জিসান বাণিজ্যালয়ে ৩০ টাকা কেজির পেয়াজ ৬০ টাকায় বিক্রির অপরাধে জরিমানা করা হয়। এছাড়াও পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় শাহআলীতে চিশতিয়া রাইস এজেন্সি, সুমন রাইস এজেন্সি এবং মিরপুর এলাকার কিশোরগঞ্জ ভ্যারাইটি স্টোর, আব্দুল কাদের স্টোরকে জরিমানা করা হয়। সাতটি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ৪৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধিরা সহায়তা করেন।