স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নই বৈষম্য দূর করার মূল শর্ত। তাই জিএবিভিকে (গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ব্যাংকিং অন ভ্যালুজ) অবশ্যই অন্তর্ভুক্তিমূলক বিনিয়োগ নিশ্চিতকরণে কাজ করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে ব্র্যাক ব্যাংক আয়োজিত জিএবিভি-এর বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি ।
সানরাইজ ব্যাংকস এর সিইও এবং জিএবিভি এর সভাপতি ডেভিড রেইলিংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হুসেইন বক্তব্য দেন।
শিরীন শারমিন বলেন, জিএবিভি নেটওয়ার্ক ব্যাংকিং খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে জিএবিভি কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় শিল্প-কারখানা এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত স্টেকহোল্ডারদের অগ্রসর ভূমিকা পালন করতে হবে। মূল্যবোধভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এ কাজগুলোকে প্রভাবিত করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী-পুরুষের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণের জন্য বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। ফলশ্রুতিতে দারিদ্র বিমোচনে প্রশংসনীয় অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সারা বিশ্বের কাছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নারীর কর্মসংস্থান এবং উন্নয়নের রোল মডেল।
স্পিকার বলেন, সর্বসাধারণের মঙ্গলের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। ব্যাংকিং সেক্টরে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নৈতিকতা, প্রচলিত আইন ও নীতিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তিনি বলেন, তামাকের পরিবর্তে টিকা, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, নবায়নযোগ্য শক্তি এবং জলবায়ু পরিবর্তনে বিনিয়োগ উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, আর্থিক খাতসমূহে টেকসই উন্নয়ন ধারণা সরকারি বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। তাই দেশের সুবিধাবঞ্চিত এবং অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে সব চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে ব্যাকিং সেক্টরে বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। মূল্যবোধভিত্তিক ব্যাংকিং দেশে একটি সহনশীল সমাজ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মূল্যবোধভিত্তিক ব্যাংকিং নিয়ে আয়োজিত গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ব্যাংকিং অন ভ্যালুজ (জিএবিভি) এর এ সম্মেলনে ৪৩টি দেশ থেকে আগত জিএবিভিএর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।