12939

04/10/2025 বিএনপি রাষ্ট্রকে মেরামত করবে এটা হাস্যকর : ওবায়দুল কাদের

বিএনপি রাষ্ট্রকে মেরামত করবে এটা হাস্যকর : ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:৫০

বিএনপি রাষ্ট্রকে মেরামত করবে এটা হাস্যকর মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যে রাষ্ট্র বিশ্বের বিস্ময়। ১৪ বছর আগের বাংলাদেশ, আর আজকের বাংলাদেশে উন্নয়ন-অর্জনের যে দৃশ্যপট, এই বাংলাদেশকে চেনাই যায় না। অথচ এই রাষ্ট্রকে তারা (বিএনপি) ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত খাদ্য উপ কমিটির প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রস্তুতি সভা আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিএনপির পক্ষ থেকে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ শিরোনামে ২৭ দফা উপস্থাপন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় পদক্ষেপে ডিজিটাল হিসেবে মেরামত করেছে। এখন ২০৪০ সালে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

বিএনপিকে রাষ্ট্র ধ্বংস ছাড়া কি করেছে তার ব্যাখ্যা চেয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র ও ভোট চুরি আমরা (আওয়ামী লীগ) করিনি। তারা (বিএনপি) ভোট চুরি করেছে। নির্বাচন জালিয়াতি করেছে। দলীয় লোক দিয়ে আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। ইয়েস-নো ভোট দিয়ে কি প্রহসন করেছে তা সবাই জানে। তাদের এমন জালিয়াতি নতুন কিছু না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ধ্বংস করেছে। স্বাধীনতার আদর্শ পদদলিত করেছে। খুনিদের পুরস্কৃত করেছে। তাদের হাতে তো রক্তের দাগ।

তিনি আরও বলেন, ১৫ আগস্ট থেকে ৩ নভেম্বর তারা খুনের রাজনীতি শুরু করে। ২১ আগস্ট পর্যন্ত আমাদের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। আহসান উল্লাহ মাস্টার, শাহ কিবরিয়া, খুলনার মুঞ্জুরুল ইমাম, যশোরের শামসুর রহমান, সাংবাদিকরাও তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। তাদের হাতে তো রক্তের দাগ। কাজেই যারা ধ্বংস করে, তারা মেরামত করবে কীভাবে? এটা নতুন কিছু নয়, এটা তাদের স্ট্যান্টবাজি। এতে তাদের আন্দোলন জমবে না। মানুষ বিভ্রান্তও হবে না।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাব আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মিথ্যাচারের হোতা। তাদের মুখে সত্যেরবাণী আরেক আশ্চর্য। কারণ তারা তো মিথ্যাচার করে, মিথ্যাকে সত্য বানাতে চায়। এদেশের মানুষ এতো বোকা নয়, যে তাদের মিথ্যাচার বিশ্বাস করবে। বিএনপির নেতারা ক্ষমতার লোভে মাঠে নেমেছে। কিন্তু দেশের মানুষকে আজও নামাতে পারনি। কারণ এদেশের মানুষ মনে করে মুক্তিযুদ্ধের কাণ্ডারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংকট থেকে সম্ভাবনায় রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের রূপকার। মানুষ বিশ্বাস করে। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়া কিছু ভাবেন না। তিনি সব থেকে সৎ এবং মানুষের উন্নয়নের জন্য পরিশ্রম করেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও খাদ্য উপ-কমিটির আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুল রহমান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মেজবাহুল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু প্রমুখ।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]