1402

09/20/2024 সুশান্ত মামলায় বিতর্কে ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’র নির্মাতা

সুশান্ত মামলায় বিতর্কে ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’র নির্মাতা

বিনোদন ডেস্ক

৩১ আগস্ট ২০২০ ১৭:১৮

যত দিন ততই রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে। এবার এই মৃত্যুর তদন্ত ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড়সড় বিতর্ককে সামনে নিয়ে এল। সুশান্তের মৃত্যু ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) তদন্তে উঠে এসেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বায়োপিক (জীবনপিত্র)-এর প্রযোজক সন্দীপ সিংহের নাম।

সূত্রের দাবি, অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে মুম্বাইয়ের মাদক চক্রের সঙ্গে সন্দীপের সংযোগের কথা সামনে আসে। ইডির পক্ষ থেকে সিবিআইকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ জানিয়েছেন, বলিউড ও মাদকচক্রের সঙ্গে সন্দীপের সংযোগ নিয়ে তিনি বহু অভিযোগ পেয়েছেন। মোদির বায়োপিক, ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’-র প্রযোজক সম্পর্কে এই সব অভিযোগের তদন্ত করার জন্য সিবিআইকে চিঠি লিখতে চলেছেন তিনি।

এদিকে, মুম্বাইয়ে দেশমুখ সরব হতেই দিল্লিতে কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিও সন্দীপ ও বিজেপির যোগ নিয়ে অনেকগুলো প্রশ্ন তুলেছেন। শুধু সন্দীপই নন, মোদিকে ঘিরে প্রচারের আলোয় এসেছেন এমন বেশ কয়েক জন ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগগুলোও সামনে নিয়ে এসেছেন।

সন্দীপ-বিতর্কে সিঙ্ঘভি দশটি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, সন্দীপ নিজেকে সুশান্তের বন্ধু বলে দাবি করেন। আর সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, কয়েক সপ্তাহে বিজেপির মহারাষ্ট্রের দফতরে ৫৩ বার ফোন করেছেন সন্দীপ। তার রক্ষাকর্তা কেউ রয়েছে কি না, তা সামনে আসা উচিত।

সিঙঘভির কথায়, “লোকসভা ভোটের মধ্যেই মোদিকে নিয়ে সিনেমাটি মুক্তি পেতে চলেছিল। মামলা করে সেই সময়ে ছবির মুক্তি আমিই আটকেছিলাম, কিন্তু মহারাষ্ট্রের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের উপস্থিতিতে ছবির পোস্টার দেশের সামনে এসেছিল।”

কংগ্রেস নেতার দাবি, সন্দীপ সিংহই একমাত্র প্রযোজক, যিনি গত বছর ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’-এর প্রচারে ১৭৭ কোটি রুপির সমঝোতা স্মারক সই করেছেন। অথচ সরকারকে তিনি জানান, ২০১৭ সালে তার সংস্থা ৬৬ লাখ রুপি লোকসান করেছে। ২০১৮ সালে ৬১ লাখ রুপি লাভ, ২০১৯ সালে ৪ লাখ রুপি লোকসানে চলেছে সন্দীপের সংস্থা। অথচ সেই লোকসানে থাকা সংস্থাই গত বছর ১৭৭ কোটি রুপির সমঝোতা স্মারক সই করেছে গুজরাট সরকারের সঙ্গে।

কংগ্রেস নেতা বলেন, সংবাদমাধ্যমের খবর, সন্দীপ নাকি ভারত ছেড়ে চলে যেতে পারেন। ফলে তার গড ফাদার কে বা কারা, তা এখনই নিতিন গড়কড়ী, ফড়ণবীসের মতো নেতাদের দেশের সামনে স্পষ্ট করা উচিত।

শুধু সন্দীপই নন, কংগ্রেস নেতার দাবি, মোদির স্যুট কিনে প্রচারের আলোয় আসা লালজিভাই পাটেল ও তার পরিবার গুজরাটে কোভিডের আগেই বড় মাপের ভেন্টিলেটর কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছেন। আর ‘অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ বইটি নিয়ে সিনেমা করেছেন যিনি, তার বাবার নাম ৩০০ কোটি টাকার কৃষি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে গিয়েছে। এই সব প্রশ্ন নিয়ে বিজেপির থেকে জবাব চেয়েছে কংগ্রেস।

সূত্র: আনন্দবাজার

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]