রাজশাহীতে পুলিশ সদস্য ও তার স্ত্রীকে ‘পিটিয়ে’ গ্রেপ্তার হওয়া বাকি সাত খেলোয়াড় জামিন পেয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে রাজশাহী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের-৩ বিচারক লিটন হোসেন তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- মহানগরীর পাচানি মাঠ এলাকার আলী আজম (১৯), হাজরাপুকুর ডাবতলা এলাকার আকাশ আলী মোহন (২০), মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট এলাকার খাদিজা খাতুন (১৮), রাজশাহী মহানগরীর বখতিয়ারবাদ মালদা কলোনি এলাকার পাপিয়া সারোয়ার পূর্ণিমা (১৯), ছোটবনগ্রাম উত্তরপাড়ার দিপালী (১৯), বড় বনগ্রাম রায়পাড়া এলাকার সাবরিনা আক্তার (১৯) এবং হাজরাপুকুর ডাবতলা এলাকার রমজান (১৯)।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মাইনুর রহমান বলেন, আসামিরা কারাগারে রয়েছেন। আদালত তাদের জামিন দিয়েছেন। কারাগারে জামিনের কাগজ পৌঁছালে তারা মুক্তি পাবেন। আমাদের আরো আগে জামিনের আবেদন করতে হতো। কিছু আইনগত জটিলতার কারণে আমাদের জামিন আবেদন করতে বিলম্ব হয়েছে।
এর আগে সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে পুলিশ কনস্টেবল দম্পতির ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের বিচারক মোহা. হাসানুজ্জামান পাঁচজনের জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতের আজকের নির্দেশের পর গ্রেপ্তার হওয়া মোট ১২ জন খেলোয়াড়ই জামিন পেলেন।
উল্লেখ্য, রোববার (৫ মার্চ) বিকেলে রাজশাহী রেলস্টেশনে পুলিশ সদস্য গোলাম কিবরিয়া ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা জয়াকে মারধরের অভিযোগে জাতীয় যুব গেমসে অংশ নেওয়া ১২ খেলোয়াড়কে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় রাজিয়া সুলতানা জয়া বাদী হয়ে রাজশাহী রেলওয়ে থানায় ১৩ জন খেলোয়াড়ের নামে মামলা দায়ের করেন।